ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পাশ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৪ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

সংসদে পাশ হতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বহুল আলোচিত বিল। সংসদের বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) কার্যসূচিতে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিমিত্তে বিধান প্রণয়নকল্পে আনীত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’ পাশের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাশের প্রস্তাব করবেন। প্রক্রিয়া শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাশ হবে।

নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়া গত ১৭ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর ২৩ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেন। সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ঐ দিন বিলটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সাত দিন সময় পেলেও পরদিনই, অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দুটি স্থানে কিছুটা সংশোধনীর সুপারিশ করে সংসদে উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। বুধবার সংসদে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। সব মিলিয়ে ১০ দিনের মধ্যে বিলটি পাশের প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিলটি পাশের জন্য সংসদে প্রস্তাব করার পর এর ওপর কয়েক জন সংসদ সদস্য জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাব তুলবেন। সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা তাদের প্রস্তাবের ওপর সংসদে বক্তব্য রাখবেন। এরপর বিলের দফাওয়ারি আনা বিভিন্ন সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে কণ্ঠভোটের মাধ্যমে স্পিকার সেগুলো নিষ্পত্তি করবেন। সংসদ চাইলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশসহ কিংবা সংসদে যেরকম স্থির করা হবে, সেভাবেই খসড়া আইনটি পাশ হবে। সাধারণত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সংসদে গ্রহণ করা হয়। বিলটি সংসদে পাশের পর রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দিলে সেটি আইনে পরিণত হবে। তখন এই আইনের অধীনেই রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সার্চ কমিটির সুপারিশের পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান ইসির মেয়াদ।
এসএ/