ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন পাস (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৪০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’। সার্চ কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত করে বহুল আলোচিত আইনটি পাস করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আইনটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। 

এখন রাষ্ট্রপতির সই করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।

প্রথমে বিলের নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন অনান্য কমিশনার নিয়োগ বিল’। সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হবে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন অনান্য কমিশনার নিয়োগ বিল’।

বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বিলের বিধি অনুযায়ী যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার জন্য ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতি মনোনীত সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত দু’জন বিশিষ্ট নাগরিক, যার মধ্যে একজন নারী সদস্য হবেন। এই ৬ সদস্যের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে।

ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন সার্চ কমিটিতে দুই জন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার প্রস্তাব দেন। আইনমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে সায় দিলে, সংসদ তা ভোটে গ্রহণ করে।

বিল গঠনের ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে কমিটি রাষ্ট্রপতির বরাবরে সুপারিশ প্রেরনের বিধান করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধান কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবি সংগঠনের কাছে এ বিষয়ে নামের সুপারিশ আহবান করতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

বিলে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার বিধান করা হয়। যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে, তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স ন্যুনতম ৫০ বছর হতে হবে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা স্বায়িত্বশাসিত বা বেসরকারি পদে অন্যুন ২০ বছরের অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের অযোগ্যতার বিষয়গুলো নির্ধারনের বিধান করা হয়। অযোগ্যতার বিষয় গুলোর মধ্যে ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে অযোগ্য বলে বিবেচিত করার বিধান করা হয়।  

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপি’র হারনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসনুল হক ইনু, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে ২৪টি সংশোধন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকী প্রস্তাবগুলো কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এসএ/