ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ উদ্বোধন ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় গণভবন থেকে অনলাইনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

২০২০ সালে এ পদকে ভূষিত হয়েছেন গোলাম মুস্তাফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালে সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদকে’ ভূষিত হয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিন সংস্কৃতিবান্ধব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং গুণী আবৃত্তিশিল্পীসহ ৫০ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক’ প্রদান করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি স্মারকে ভূষিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি স্মারকে’ ভূষিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ম. হামিদ, পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, ড: মুহাম্মদ সামাদ, বিপ্লব বালা, গোলাম কুদ্দুছ, লিয়াকত আলী লাকী, ড. আব্দুল মালেক, হারুন-অর-রশিদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, সাগর লোহানী, কেয়া চৌধুরী, নিমা রহমান, প্রজ্ঞা লাবনী, লায়লা আফরোজ, ডালিয়া আহমেদ, ইস্তেকবাল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, রূপা চক্রবর্তী, মোহাম্মদ কামাল, মীর বরকত, হাসান আরিফ, গোলাম সারোয়ার, এনামুল হক বাবু, শিমুল মুস্তাফা, মোকাদ্দেস বাবুল, আজমল হোসেন লাবু, আবু সুফিয়ান কুশল, আলম আরা জুঁই, সমরজিৎ দাস টুটুল, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ইকবাল খোরশেদ, ফয়জুল আলম পাপ্পু, মাহিদুল ইসলাম, কাজী মাহতাব সুমন, রাশেদ হাসান, আজহারুল হক আজাদ, মীর মাসরুর জামান রনি, মাসুদুজ্জামান, আহসান উল্লাহ তমাল, সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু, অনন্যা লাবনী পুতুল, শিরিন ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, ঝর্না সরকার এবং নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী।

মরণোত্তর স্মারকে ভূষিত গুণীরা হচ্ছেন- ওয়াহিদুল হক, নাজিম মাহমুদ, কামাল লোহানী, নিখিল সেন, অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, মৃনাল সরকার, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য, তারিক সালাহ্উদ্দীন মাহমুদ, খান জিয়াউল হক, এস এম মহসিন, কাজী আরিফ, ইশরাত নিশাত, রণজিত রক্ষিত, কামরুল হাসান মঞ্জু এবং খালেদ খান।

বিশিষ্ট শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন মীর মাসরুর জামান রনি, নায়লা তারান্নুম কাকলি এবং ঝর্না সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শিশু আবৃত্তিশিল্পী ইহসান ইমাম অতুল; বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে শিশু আবৃত্তিশিল্পী অমিয়া অমানিতা এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্’র পক্ষে উৎসব পতাকা উত্তোলন করে শিশু আবৃত্তিশিল্পী সেমন্তী রোদসী।

শিশুদের পরিবেশনায় মীর মাসরুর জামান রনির গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘স্বাধীনতার অমর কাব্য’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’- এই শ্লোগানে আয়োজিত ঐতিহাসিক উৎসবের উদ্বোধন পর্বে জেলা পর্যায়ের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা স্থানীয় পর্যায় থেকে অনলাইনে অংশ নিয়েছেন। রাজধানীসহ ৬৪ জেলায় একই সাথে স্থানীয় সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে উৎসবের অনুষ্ঠানমালা চলছে।
এসএ/