বেকায়দায় বরিস জনসন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
বেশ বেকায়দায় পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লকডাউন চলাকালীন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে মদ ও জন্মদিনের পার্টি করার মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নিজের দলের সাংসদরা তার বিরুদ্ধে চিঠি দিচ্ছেন। একই সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই এ অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে।
বরিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে। তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হতে পারে।
যদিও ওই ঘটনার জন্য ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা’ চেয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের মে মাসে ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীদের নিয়ে ওই পার্টি দিয়েছিলেন বরিস জনসন।
তিনি বলেন, “হাজার হাজার ব্রিটিশ নাগরিক যখন করোনা বিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রিয়জনদের শেষকৃত্যে পর্যন্ত নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সেখানে তার এহেন আচরণ মোটেও প্রশংসাযোগ্য নয়।”
এদিকে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার বরিসের এই ক্ষমা প্রার্থনাকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে এতো দেরি করে এ ব্যাপারে মুখ খোলার জন্য বরিসকে উপহাস করেছেন।
এ ব্যাপারে স্টার্মার প্রশ্ন তোলেন, তিনি (বরিস) কি ভদ্রোচিতভাবে পদত্যাগ করবেন? এর আগে অবশ্য এই ঘটনার জন্য স্টার্মার বরিসকে ‘নির্লজ্জ’ বলেছিলেন।
২০২০ সালের ওই পার্টির ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই অবশ্য ব্রিটেন জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। এই ঘটনা জনগণের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। এমনকি জনমত জরিপেও বরিসের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ মে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মদের আসর বসে। এই আসরে বরিস জনসন ও তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস ছাড়াও শতাধিক অতিথি ছিলেন। ওই সময় যুক্তরাজ্যে স্কুল, রেস্টুরেন্ট, মদের দোকান বন্ধ থাকাসহ সমাজিক মেলামেশায় কঠোর নিষেধ ছিল।
স্থানীয় সময় সোমবার আয়োজন-সংক্রান্ত একটি ই-মেইল ফাঁস হলে এ তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ই-মেইলের মাধ্যমে সরকারের জ্যেষ্ঠ আমলা মার্টিন রেনল্ডস অতিথিদের দাওয়াত করেছিলেন।
এসএ/