ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বড় হচ্ছে প্যাকেজিং পণ্যের বৈশ্বিক বাজার (ভিডিও)

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

বৈশ্বিক প্যাকেজিং মার্কেটের আকার প্রায় হাজার বিলিয়ন ডলার। সক্ষমতা বাড়লেও বিশাল এ বাজারে এখনও অবস্থান তৈরি হয়নি বাংলাদেশের। উদ্যোক্তারা বলছেন, সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্যাকেজিংকে আলাদা খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া জরুরি। সাথে দরকার সরকারের সর্বোচ্চ নীতিসহায়তা।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ তাদের প্রয়োজনীয় প্যাকেজিং সামগ্রীর বড় একটি অংশই আমাদানি করে থাকে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রোটেকটিভ বাজারের আকার ছিল প্রায় ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। বা হাজার বিলিয়ন ডলারের ওপরে। 

কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় বৈশ্বিক বাজার ধরতে পারছে না দেশের প্যাকেজিং শিল্প। যদিও এখাতের সক্ষমতা বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় পুরোটাই পূরণ হচ্ছে স্থানীয়ভাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাত রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পেয়ে থাকে। প্যাকেজিং শিল্পকেও প্রনোদনার আওতায় এনে পৃথক খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিলে পাওয়া যাবে বড় সাফল্য। স্বল্প সময়েই শক্তিশালী রপ্তানি পণ্য হিসেবে দাঁড়াতে পারে প্যাকেজিং সামগ্রী।

ফ্লেস্কিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি সাফিউস সামী আলমগীর বলেন, ‘কোয়ালিটি নিয়ে কোন অসুবিধা নেই। প্রাইজেও অনেক কম্পেটিটিভ দিতে পারছি। কিন্তু কিছু ডিউটি বেনিফিট, কিছু ট্যাক্স বেনিফিট এরকম পলিসিগত যে সাপার্ট আছে সেগুলোই আমাদের প্রয়োজন। বিশেষ করে এক্সপোর্টে প্যাকেজিংকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’

এদিকে, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কাজ করা প্যাকেজিং কারখানাগুলো কিছু নীতিসহায়তা পেলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। 

গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, ‘ইডিএফে পাচ্ছি কিন্তু এটা সাফিসিয়েন্ট নয়। ইতিমধ্যে এটা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়েছে।’
 
প্যাকেজিং শিল্পে নীতিসহায়তার প্রয়োজনীতার কথা বলছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি কথাও জানায় সংগঠনটি।

এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমীন হেলালী বলেন, ‘বিডাতে জোড় করে পিটি প্যাকেজকে ঢুকাতে সক্ষম হয়েছি। এটার জন্য একটা পলিসি তৈরি করে টার্নডাউন করতে হবে।’

প্রতি বছর প্যাকেজিং পণ্যের বৈশ্বিক বাজার বড় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ হারে। 
এএইচ/