ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

সুন্দরবনে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

সুন্দরবনের খাল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে বাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। 

সুন্দরবন শরনখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল  আরেফিনের নেতৃত্বে শরণখোলা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও বন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফের সদস্যরা মৃত বাঘটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। 

এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন রুপার খাল থেকে উদ্ধার করে বনবিভাগের স্মার্ট টিমের সদস্যরা। ওই রাতেই বাঘের মরদেহ শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসেন বনরক্ষীরা। বাধ্যকজনিত কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বনবিভাগ। 

ময়নাতদন্ত শেষে শরণখোলা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ৯ ফুট লম্বা বাঘটির বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর হবে। বাঘটির শরীরে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ধারণা করছি বাঘটি বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যেতে পারে। টেস্টের জন্য ল্যাবে পাঠাতে বাঘের চামরা, দাত, মাংস, হৃদপিণ্ড নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।  আলামতগুলো  বনবিভাগের ঢাকা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে। ল্যাবের রিপোর্টে বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন রুপার খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  ধারণা করা হচ্ছে বার্ধক্যজনিত কারণে ব্যক্তি মারা যেতে পারে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। বাঘটির মরদেহ বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র করমজলে পাঠানো হয়েছে। এটি মাটি চাপা দেওয়া হবে না সংরক্ষণ করা হবে তা  উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে বলে জানান তিনি।  

এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে দুটি বাঘের মৃত দেহ উদ্ধার করে বনবিভাগ। এসব বাঘ বার্ধক্যজনিত কারনে মারা গেছে বলে তদন্ত রিপোর্ট জানা যায়।
কেআই//