ঢাবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলন শুরু, নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১২:০৬ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার
দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলন। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্ত্বরে এই সম্মেলন শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে চার বছর পর নতুন নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আবাসিক হল ইউনিট। অন্যবারের তুলনায় এবার বেড়েছে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীর সংখ্যা।
পদ পেতে এ বছর ১৮ আবাসিক হল ইউনিটে ৩৬ পদের বিপরীতে ৩২৫ জন পদপ্রত্যাশী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয় ২০১৬ সালে। এক বছর মেয়াদি এই কমিটি শেষ হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। তবে চার বছর পার হলেও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারেনি সংগঠনটি।
দীর্ঘদিন পর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় উৎসবের আমেজ লেগেছে ইউনিটগুলোয়। হলগুলোতে সাঁটানো হয়েছে সম্মেলনের বড় বড় ব্যানার। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকায় সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সম্মেলনের পর এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ১৮ হলে এ বছর ৩২৫ প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ২৮, শহীদুল্লাহ হলে ২৩, ফজলুল হক হলে ৩১, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ২৩, জগন্নাথ হলে ১৪, অমর একুশে হলে ১২, মুহসীন হলে ১৬, সূর্য সেন হলে ২৪, বঙ্গবন্ধু হলে ২৮, জসীমউদ্দীন হলে ১৯, জিয়া হলে ১০, স্যার এ এফ রহমান হলে ২৮, বিজয় একাত্তর হলে ২৩ পদপ্রত্যাশী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হলগুলোয় কম প্রার্থী হয়েছেন। মেয়েদের হলগুলোর মধ্যে রোকেয়া হলে সর্বোচ্চ ১২ জন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে ১১, শামসুন্নাহার হলে ছয়, কবি সুফিয়া কামাল হলে চার, কুয়েত মৈত্রী হলে ৯ জন পদ পেতে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, “নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিশেষ করে একুশ শতকের এই পর্যায়ে ‘নিউ নরমাল রিয়েলিটি’-কে বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের উপযোগী মানবসম্পদ গড়তে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
এসএ/