ভ্রাম্যমাণ মানুষ পাবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৩ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার
দেশে প্রায় আড়াই কোটির মতো মানুষ আছেন যারা ভ্রাম্যমাণভাবে চলাফেরা করে; তাদের জনসনের কোভিড টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কারণ, জনসনের টিকা মাত্র এক ডোজ দিতে হয়।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রাঙ্গনে কোভিড-১৯ এর বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই নয় কোটি ৭০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং সাড়ে ছয় কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বস্তি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়েছি।
“এরপরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রায় আড়াই কোটির মতো মানুষ, যারা ভ্রাম্যমাণভাবে চলাফেরা করে, দোকান-পাট, কল-কারখানায়, লঞ্চ-স্টিমারে কাজ করে তারা টিকার আওতায় আসছে না। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে ভ্রাম্যমাণ মানুষদের জনসনের টিকা দেওয়া হবে। কারণ জনসনের টিকা মাত্র এক ডোজ দিলেই চলে, ২য় ডোজ দেওয়ার দরকার হয় না।”
তিনি আরও জানান, ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুস্টার ডোজ গ্রহণে সেরকম সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য এখন থেকে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই বুস্টার ডোজ নিতে পারবে। একইসঙ্গে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে স্কুলগামী বা অন্য শিশুদেরকেও টিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, সরকার এ পর্যন্ত সাড়ে ১৭ কোটি ডোজ টিকা মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং বর্তমানে সরকারের হাতে আরও প্রায় নয় কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। এ কারণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দিলেও শেষ হবে না।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/