ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

এফডিসিতে লাঞ্ছিত হয়ে হিরো আলমের আবেগঘন পোস্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ রবিবার

সোশ্যাল মিডিয়ার এক আলোচিত নাম আশরাফুল আলম সাঈদ, ওরফে হিরো আলম। যিনি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও নিজের অবস্থানের জানান দিয়েছেন। এরইমধ্যে ৫টি সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি করেছেন সিনেমার প্রযোজনাও। 

গত ২৮ তারিখের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায়, রোববার এই অঙ্গনের ১৭টি সংগঠন এফডিসির ভেতর প্রতিবাদ সমাবেশে করে। এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করতে এফডিসিতে আসেন হিরো আলমও। কিন্তু এখানে এসে তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে তার ফেইসবুক পেইজে অভিযোগ করেন।

তিনি লেখেন ‘‘ আমি একজন চলচ্চিত্রের সম্মানিত প্রযোজক। যেখানে এবারের নির্বাচনে আমরা কোন সংগঠনের লোক ঢুকতে পারিনি। সেটির প্রতিবাদে আজ এফডিসিতে সমাবেশে যোগদান করি। সেখানে আজ জনসম্মূখে পরিচালক শাহীন সুমন ভাই আমাকে অপমানজনকভাবে এফডিসি থেকে বের হতে বলেন!’’

এরপর তিনি ঐ পরিচালককে প্রশ্ন রেখে লেখেন, ‘‘ আমরা সবাই মানুষ। গরীব আর বড়লোক বলে কোন শব্দ পৃথিবীতে নাই। মহান আল্লাহতায়ালা সবাইকে সমান করে পাঠিয়েছে। আপনাদের যদি আমারে ভাল না লাগে কথা বলবেন না। আমি আজ গরীব, চেহারা কুৎসিত হলে যদি আপনার এতো কষ্ট হয় তাহলে কি আমাকে অপমান করার রাইট  আপনাদের রয়েছে? আপনার কাছে আমার এই প্রশ্ন?? উত্তর দিবেন???’’

পোস্টের সবশেষে তিনি এই লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান। 

তিনি লেখেন, ‘‘আমিও বাংলাদেশের নাগরিক। আমার জন্য মাননীয় সরকার আইন সমান করে রেখেছেন। এর একটি সুরাহা করবেন। নতুবা আমিও আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব। ভাই আমিও একজন হিরো আলম, আমিও একজন প্রযোজক/ অভিনেতা।’’

হিরো আলম অভিনীত সিনেমাগুলো হল, মার ছক্কা, সাহসী হিরো আলম, বউ জামাইয়ের লড়াই, নষ্ট হওয়ার কষ্ট, টোকাই।

প্রসঙ্গত, এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের শুরু থেকেই কাঞ্চন-নিপুন প্যানেলের সমর্থনে এফডিসিতে এসে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন হিরো আলম। শিল্পী সমতির সদস্য না হয়েও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাকে নিয়ে সমালোচনা করে মিশা-জায়েদ প্যানেল। এরপর নির্বাচনের দিন এফডিসিতে প্রবেশ করতে গেলে বাধার সম্মুখিন হয়ে ফিরে যান তিনি।

এমএম/