ঘরে তৈরি খাবারের চাহিদা বাড়ছে অনলাইনে (ভিডিও)
দিপু সিকদার
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার
জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইনে ঘরের তৈরি খাবার। করোনাকালে নগরীর ভোজন রসিক মানুষ ঝুঁকেছেন ঘরে তৈরি খাবারের দিকে। অর্ডার করলেই পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। উদ্যোক্তারা বলছেন, বাঙালি বরাবরই ঘরের খাবার খেতেই পচ্ছন্দ করে। তাই সামনের দিনে এই খাতের সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা। খাতটিকে তাই শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি তাদের।
রুমানা শারমীন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক। শখের বশে রান্না করতেন মজার মজার সব খাবার। করোনা শুরুর পর লকডাউনে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে ক্ষুদ্র পরিসরে বেকারী আইটেমসহ ঘরে রান্না করা খাবার সরবরাহ শুরু করেন। এখন বেড়েছে গ্রাহক।
‘লুসিয়াস’ স্বত্তাধীকারী ডা: কাজী রুমানা শারমীন বলেন, ‘বাইরের নাগরিকরা অনেক ব্যস্ত থাকেন তাই তারা বাইরের খাবার খেতে অভ্যস্ত কিন্তু আমাদের কালচারটা একটু ডিফ্রেন্ট। আমরা ঘরের মা-বোনদের হাতে রান্না করা খাবার খেতে পছন্দ করি। করোনা আসার পরে বাইরের খাবারটা ঝুঁকির মুখে নয় প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে। আমিও খুব মিস করতাম। যে খাবার আমার বাসার মানুষ যেভাবে খেতো আমি যাকে দিচ্ছি সেও যেন হোমলি ফিলিংসটা পায় সেই হিসাবটা করেই আমরা আসলে খাবারটা সার্ফ করে থাকি।’
তার মতোই মাত্র কয়েকমাস আগে স্বল্প পরিসরে খাবার শুরু করেন এই আইনজীবী।
রন্ধন শিল্পী অ্যাডভোকেট শমরিতা শারমিন রেখা বলেন, ‘যেহেতু মানুষ এখন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গিয়েছে। তাতে আমরা খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি।’
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরে তৈরি খাবার গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, বাঙালি ঐতিহ্যের খাবারই বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ। তাই এই খাতটি শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে খুব বেশি সময়ও লাগবে না বলে মনে করছেন তারা।
‘ঝুরা মাংস’ স্বত্তাধিকারী আইনুন নিশাত মিশু বলেন, ‘প্লাটফর্মগুলো যদি আমাদেরকে আরেকটু বেনিফিট দেয় এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে অ্যাকটিভ আছি তাতে যদি মানুষ রিঅ্যাবেলিটি পায় তখন এটি ইন্ডাস্ট্রি হিসাবেই দাঁড়িয়ে যাবে।
ডা: কাজী রুমানা শারমীন আরও বলেন, ‘করোনার জন্য যাদের জব নাই, তারা অনেকেই মনে-প্রাণে যাচ্ছেন যে এটা প্রতিষ্ঠিত হোক, তার পেইজটা প্রতিষ্ঠিত হোক। তাদের জন্য আসলে সরকারের কিছু একটা চিন্তা করা উচিত।’
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই খাতে বহু বেকারের কর্মসংস্থান দেখছেন ঘরের খাবারের উদ্যোক্তারা।
এএইচ/