ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

কলকাতায় গিয়ে কোথায় কেনাকাটা করবেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

বর্তমানে ভারতে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন বাংলাদেশি পর্যটকরা। আর ঘুরতে গেলে কেউই খালি হাতে ফেরেন না। প্রিয়জন ও নিজের জন্য কিনে নেন নানা রকমের জিনিস। ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, কি কেনা হয় না? তবে কিনতে গেলে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান দরদাম ও জিনিসের মান নিয়ে। কলকাতাতেই এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে আপনি পেয়ে যেতে পারেন বিভিন্ন প্রদেশের নানা ডিজাইনের পছন্দসই জামাকাপড়। 

চলুন জায়গাগুলো চিনে আসা যাক... 

> কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপনের বিখ্যাত একটি দোকান মৃগনয়নী। বিভিন্ন ধরনের সুতি, সিল্ক, ঘিচা, তসরের শাড়ি তো বটেই, এখানে পাওয়া যায় পোশাক বানানোর জন্য ছিটের কাপড়ও। মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত ‘কোটা’ তসরের শাড়ির খোঁজে এই দোকানে ভিড় হয় নিয়মিতই।

> কলকাতার খাদি সিল্ক এম্পরিয়ামগুলোতে আপনি পেতে পারেন খদ্দরের জামাকাপড়ের বিপুল সম্ভার। এ ছাড়াও বিভিন্ন কাঁথা স্টিচের শাড়ি এখান থেকে কিনে নিয়ে যান মানুষজন। পাওয়া যায় সুতির এবং সিল্কের পাঞ্জাবিও। শহরের নানা জায়গায় খাদির বিভিন্ন বিপণি ছড়িয়ে রয়েছে। গড়িয়াহাট ছোট বিপণি থেকে শুরু করে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপর বিশাল বিপণি-সব জায়গাতেই আপনি পেয়ে যাবেন ভারতের নানা প্রদেশের সিল্ক এবং খদ্দরের কাপড়।

> রাজস্থান সরকার অনুমোদিত দক্ষিণপণ এবং উল্টোডাঙ্গার কাছে উত্তরাপণে রয়েছে দোকান রাজস্থলী। যারা ঝলমলে জামাকাপড় পড়তে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন এই বিপণিগুলো থেকে। আজরাখ, বাঁধনি, লেহরিয়া তো বটেই, পাবেন রাজস্থানের কারিগরের তৈরি অনুষ্ঠানে পরার মতন শাড়ি, ওড়না এবং ছিটের কাপড়। ইউনিসেক্স ‘কটি’ প্রিন্টের জ্যাকেট এবং কুর্তা আপনি পেতে পারেন এই দোকানে। তবে রাজস্থানের পোশাকের খোঁজ করলে আর এক দারুণ গন্তব্য হতে পারে নিউ মার্কেট। বেশ কয়েকটা দোকান রয়েছে যেখানে আপনি রাজস্থানের শুধু পোশাক নয়, পেয়ে যাবেন হাতে তৈরি আরও নানা ধরনের ঘর সাজানো সামগ্রী।

> দক্ষিণাপণ এবং উত্তরাপণে রয়েছে গুজরাট সরকার অনুমোদিত গুজরাত নামের আরেকটি দোকান। পটোলা শাড়ি কিনতে হলে আপনাকে আসতেই হবে এখানে। এই দোকানে বিভিন্ন কারুকাজের শাড়ি ছাড়াও পেতে পারেন ব্লাউজ, চাদর, ওড়না এবং কুর্তিও। এখানে সিল্ক, সুতি, মলমল, কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন জমির কাপড়ও মিলবে।

> ওড়িশা সরকার অনুমোদিত বয়নিকায় আপনি পাবেন কটকি এবং বমকাই কাপড়ের বিপুল সম্ভার। জামাকাপড় তো বটেই, তার সঙ্গে আপনি এখানে পেতে পারেন সুতার কাজের সুন্দর সুন্দর তসরের চাদর। পাটলিপাল্লু , হাফ-হাফ, গঙ্গা-যমুনা বর্ডারের বিভিন্ন কেতার শাড়ি কিনতে হলে বয়নিকা হতে পারে আপনার প্রধান গন্তব্য।

> পঞ্জাবের ফুলকারী কারুকাজের ওড়না, সালোয়ার, শাল অনেকেরই খুব প্রিয়। নিউ মার্কেটের ভিতরে একাধিক বিপণিতে আপনি পেয়ে যাবেন রংবেরঙের ফুলকারীর সম্ভাব। তা ছা়ড়াও ক্যামাক স্ট্রিটে ‘ফুলকারী’ নামে একটি বিপণিও রয়েছে যেখানে পঞ্জাবের নানা রকমের পোশাক পেয়ে যাবেন। একই রকমের বিপণি পাবেন দক্ষিণাপণ এবং উত্তরাপণেও।

> কাশ্মীরের কারুকাজ করা শীতপোশাক, পশ্মিনা শাল, কাশ্মীরি কারুকাজের শাড়ি, কুর্তার মতো যাবতীয় পোশাক নিউ মার্কেটের একাধিক দোকানে পেয়ে যাবেন। বহু বছর ধরে কাশ্মীরিরা এই বিপণিগুলো চালাচ্ছেন। তাই খাঁটি পশ্মিনা কিনতে গিয়ে ঠকবেন না।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমএম/