বাল্যবিয়ে বন্ধের পর বিপাকে কনের পরিবার
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার
বিয়ের আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বাল্যবিয়ে বন্ধের পর বিপাকে পড়েছে কনের পরিবার। কাজীর জরিমানার টাকা ওই পরিবারকে দিতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি তামাই রয়নাপাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময়ে বিয়ের কাজী মাওলানা আব্দুল মমিনকে ৫০ হাজার টাকা ও কনের পিতা শাহআলমসহ বর সুলতানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কনের বাবা শাহআলম অভিযোগ করে জানান, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত বাড়ি থেকে চলে যাবার পর আমার মেয়ে মুক্তা ও তার স্বামী দুজনে পালিয়ে গিয়ে সংসার করছে। কিন্তু আমি পরে গেছি বিপদে। গ্রামের মাতব্বর আমার কাছে কাজির জরিমানার ৫০ হাজার টাকার অর্ধেক টাকা ফেরত চেয়ে প্রতিনিয়নত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।’
তিনি আরও জানান, ‘তার হুমকির কারণে আমি ও আমার পরিবার ভয়ে দিন পার করছি। এমন অবস্থায় আমার পক্ষ থেকে আমার বোন শাহিনুর ও বোন জামাই আছাব উদ্দিন মঙ্গলবার ইউএনও’র কাছে বিষয়টি জানাতে যান। যাতে আমার ভালো একটি ব্যবস্থা হয়।’
এদিকে, শাহ আলমের বোন শাহিনুর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি ও আমার স্বামী ইউএনও’র কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানানোর জন্য যাবার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের বাঁধা দেন। কোন অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে নিয়ে যেতে বলেন তারা। পরে আমরা উপজেলা থেকে ফিরে এসেছি।’
অপরদিকে, বিষয়টি অস্বীকার করে গ্রাম মাতব্বর চাঁন মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ‘আমি কখনো কাউকে হুমকি-ধামকি দেই নাই।’
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ‘মুছলেকা দেবার পর যদি কারো মেয়েকে বিয়ে দেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে। আর হুমকিধামকি বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে তারা তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’
এএইচ/