ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে: পুতিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন- রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার এ খবর জানিয়েছে।

চলমান ইউক্রেন সংকট প্রসঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম এমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্তব্য করলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্টের অভিযোগ—রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত হিসেবে ইউক্রেনে সংঘাতকে ব্যবহার করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য।

এ ছাড়া পুতিন বলেন, “ইউরোপে ন্যাটো জোটের বাহিনী নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগকে যুক্তরাষ্ট্র পাত্তা দিচ্ছে না।”

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে মস্কোয় আলোচনার পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছে—ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়... কিন্তু, রাশিয়ার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করাই তার (যুক্তরাষ্ট্র) প্রধান কাজ। সে অর্থে, ইউক্রেন হলো এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটি হাতিয়ারমাত্র।”

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় এক লাখ রুশ সেনাসহ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ট্যাংক, আর্টিলারি, গোলাবারুদ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করাকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ইউক্রেনসহ পশ্চিমাদের অভিযোগ—রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

রাশিয়া বলছে—ইউক্রেন আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। উলটো রাশিয়া ইউরোপে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ নীতিসহ নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ন্যাটো জোটে প্রতিবেশী ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি চায় না রাশিয়া। কিন্তু, রাশিয়ার এমন দাবি মানতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র।

রুশ প্রেসিডেন্টের অভিযোগ—পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ বন্ধসহ নিরাপত্তা সুরক্ষার নিশ্চয়তা চাওয়া রাশিয়ার দাবিগুলো যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করেছে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সতর্ক করে বলেছেন, “রুশ আগ্রাসন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ হবে না, এটা হবে ইউরোপের একটি যুদ্ধ, একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “ইউক্রেনের সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক উপায় খুঁজছে।” তবে একইসঙ্গে তিনি রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, “যা কিছুই ঘটুক আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”
এসএ/