হালকা বৃষ্টিপাতের আভাস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। আগামী দুই দিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। এ সময় সারা দেশেই হালকা বৃষ্টিপাতের আভাসও রয়েছে।
বৃষ্টিপাত কেটে গেলে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে এবং শুক্র ও শনিবার থেকে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় তা বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, “সিলেট বিভাগে এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি বাড়বে। বৃষ্টির পর দেশে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়বে। এ সময় রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে তা বেশি দিন স্থায়ী হবে না।”
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। আগের দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। তবে সেখানকার তাপমাত্রা গতকাল সকালে বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ও দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিম বঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকায় পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৪৬ মিনিটে এবং শুক্রবার সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩৯ মিনিটে।
এসএ/