ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রেমিকের ফোন পেয়ে বের হয়ে গণর্ধষণের শিকার, আটক ২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্য রাতে প্রেমিকের ফোনে সাড়া দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী। এই মামলায় আশরাফুল (২২) ও মতিউর (২০) নামে দুই যুববকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায়। 

তিনি জানান, বুধবার রাতে পুরাতন ঠাকুরগাঁও বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে রুহিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আশরাফুল পুরাতন ঠাকুরগাঁও এলাকার মোকলেসুরের ছেলে এবং অপর আসামি মতিউর চিলারং বাসগাড়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার রাতে মেয়েটিকে পুলিশ হাসপাতালে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এঘটনায় বুধবার সকালে পাঁচজনের নামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভূক্তভোগির পরিবার।

পাশবিকতার শিকার স্কুল ছাত্রীটির বাবা মো: নূরে হাফিজ জানান, সোমবার রাত ১২টার দিকে পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝড়ছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচড়ের চিহ্ন।

পরে রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করা হয়, জানান তিনি।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় মেম্বার ওই মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সারাদিন বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়ীতে ভুক্তভোগি মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের বেডে কান্নাজড়িত কন্ঠে মেয়েটি জানান, ঘটনার দিন তার প্রেমিক সুজনের ফোন পেয়ে বাড়ির সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে। পরে তাকে মোটরসাইকেলযোগে একটি মুরগীর খামারের ভিতরে নিয়ে গিয়ে সুজন, আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। 

এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান ভুক্তভোগি।

অভিযুক্ত সুজন ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নিশ্চত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

এএইচ/