ঘাড়ের ব্যথা মুখেও ছড়াচ্ছে? হতে পারে নিউরলজিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৩ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
ঘাড়ে ও মুখে তীব্র যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হতে পারে নিউরলজিয়া। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট জায়গার স্নায়ু কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য ওই স্নায়ু অঞ্চলে হয় প্রচণ্ড ব্যথা। এক্ষেত্রে মুখ ও ঘাড়ে ভীষণ ব্যথা হতে পারে। দিনের যে কোনও সময় এই যন্ত্রণা হতে পারে। নিউরলজিয়ার পিছনে নার্ভ ড্যামেজ হওয়া ছাড়াও কেমিক্যাল ইরিটেশন, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ডায়াবিটিস, হারপিস জস্টার, এইডস, লাইম ডিজিজ, সিফিলিসের মতো কোনও সংক্রমণ থাকতে পারে।
এছাড়াও কিসপ্ল্যাটিন, প্যাসিলিট্যাক্সেল বা ভিনক্রিসটাইনের মতো ওষুধে খেলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। পাশাপাশি সেই অংশের পেশি, লিগামেন্ট, রক্তবাহীনালী চাপ সৃষ্টি করলেও হতে পারে নিউরলজিয়া। তবে বহু ক্ষেত্রেই এর সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
কী ভাবে বুঝবেন সমস্যাটা নিউরলজিয়ার?
আপনার ঘাড়ে বা মুখে কোনও একটি স্নায়ুর অংশে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হলে বুঝতে হবে সমস্যাটা নিউরলজিয়ার। যখনই আপনি মুখ বা ঘাড়ের সেই অংশে হাত দেবেন যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবেন না। তবে এই যন্ত্রণা সবসময় থাকে না। এই যন্ত্রণা আসে যায়। কিন্তু যখন আসে তখন তা সহ্য করা হয়ে পড়ে দুষ্কর। ঘাড় নড়াতে গেলে এক্ষেত্রে আরও বেশি সমস্যা দেখা দেয়। আপনার মনে হতে পারে এই অংশটা প্যারালাইসড হয়ে গিয়েছে। এই রকম কোনও লক্ষণ দেখা দিলে আর অপেক্ষা নয়। সোজা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কী পরীক্ষা হয়?
এক্ষেত্রে কোনও একটি টেস্টে নির্দিষ্ট করে রোগটি একবারে নির্ধারণ করে দিতে পারবে না। চিকিৎসক আপনার লক্ষণ জিজ্ঞেস করবেন। তারপর হতে কোনও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন। এক্ষেত্রে এমআরআই, সিটি স্ক্যান করতে হতে পারে। তবে মুখের ব্যথার কারণ অনেক সময় দাঁতের সমস্যাও হয়।
চিকিৎসা কী?
এক্ষেত্রে কোন জায়গায় যন্ত্রণা হচ্ছে এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসা। চিকিৎসক ব্যথা কমানোর ওষুধ দিতে পারেন। এছাড়া স্নায়ুর সমস্যা সারানোর জন্য চাইলে অপারেশন করা যেতে পারে। এছাড়া ফিজিওথেরাপিও এক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।
ভালো থাকার উপায়
এই সমস্যা দেখা দিলে যত শীঘ্রই সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোগ যত দ্রুত ধরা পড়বে চিকিৎসা করতে হবে ততই সুবিধা। এছাড়া আপনার কোনও কাজের জন্য যদি এই সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে সেই কাজটি ছাড়তে হবে বা কমাতে হবে। যেমন দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে টাইপ করা বা ঘাড় গুঁজে পড়াশোনা করা। এই ধরনের অভ্যাস বদলানোর পরই সমস্যা থেকে পাওয়া যাবে নিস্তার।
সূত্র: এই সময়
এমএম/