ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কোভিড কমলেও বাড়ছে ‘মাস্ক দূষণ’

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১১:১৮ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১১:২০ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

করোনাভাইরাস আটকাতে এখন মাস্কই ভরসা। কিন্তু সেই মাস্কই এবার ডেকে আনছে বিপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা রুখতে যে গ্লাভস, মাস্ক, সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অত্যাধিক মাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এই দূষণ। কোটি কোটি মাস্ক, ও টিকা দেওয়ার সিরিঞ্জের জঞ্জাল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যা আগামী দিনে ডেকে আনতে পারে নতুন কোনও বিপদ। 

সংস্থাটি জানিয়েছে যে হাজার হাজার টন অতিরিক্ত চিকিৎসা বর্জ্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়কেই হুমকির মুখে ফেলছে।

এই ব্যবস্থাগুলিকে উন্নত করার জন্য সরকার ও জনগণ উভয়ের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি এমনটাই জানানো হয়েছে।

ডাঃ মার্গারেট মন্টগোমারি বলেছেন, "জনগণকে আরও সচেতন ভোক্তা হয়ে উঠতে হবে।" ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের কথা উল্লেখ করে মন্টগোমারি বলেন, "আমরা দেখতে পেয়েছি যে লোকেরা অতিরিক্ত পিপিই পরেছে।"

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, " মুন স্যুট এবং গ্লাভস নামে পরিচিত প্রায় ৮৭ হাজার টন এই জাতীয় সরঞ্জামের বেশিরভাগই কোভিড এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। ২০২০ এর মার্চ থেকে ২০২১ নভেম্বর পর্যন্ত এত সংখ্যক কিট ব্যবহার হয়েছিল যে বিশ্বব্যাপী ৮ বিলিয়ন ডোজের জন্য ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ, সূঁচ এবং সুরক্ষা বাক্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৪৩ টন বর্জ্য তৈরি করেছে।" 

ডাঃ মাইকেল রায়ান বলেন, "স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিক ব্যবস্থা প্রদান করা একেবারেই অত্যাবশ্যক। তবে এটি আশেপাশের পরিবেশের উপর প্রভাব না ফেলে নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে কি না তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।"

অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ডাঃ অ্যান উলরিজ বলেছেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামগুলির "নিরাপদ এবং যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার" পরিবেশগত ক্ষতি হ্রাস করবে। পাশাপাশি অর্থ সাশ্রয় করবে, সরবরাহের সম্ভাব্য ঘাটতি হ্রাস করবে, সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরিবেশ-বান্ধব প্যাকেজিং এবং শিপিংয়ের পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা বায়োডিগ্রেডেবল উপকরণ ব্যবহারের মতো সুপারিশ জারি করেছে।       

সূত্র: এবিপি আনন্দ

এসবি/