বিভিন্ন দেশের ভাষা নিয়ে চলছে গবেষণা (ভিডিও)
মানিক শিকদার
প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
শুধু বাংলা ভাষাই নয়, নৃতাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণা করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষা নিয়েও চলছে গবেষণা। ইন্সটিটিউটের ভাষা জাদুঘর ও আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হচ্ছে ভাষার বিবর্তনের ইতিহাস।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রথমে উদ্যোগ কানাডা প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এবং কানাডার বহুভাষিক সংগঠন মাতৃভাষা প্রেমিক গোষ্ঠীর।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
এরপরই পৃথিবীর বিকাশমান ও বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলোর মর্যাদা রক্ষায় মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণার উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০০১ সালের ১৫ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচায় ইনস্টিটিউটের ভিত্তি স্থাপনের নয় বছর পর ২০১০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু।
ইনস্টিটিউটের এই ভাষা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রধান ভাষা ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষার তালিকা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে ভাষা নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য এখানে ১০১টি বোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতন্ত্রের ভাষার সংখ্যা।’
ভাষার বিবর্তন ও উৎস সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে আর্কাইভে। প্রাচীনতম অ্যাজটেক লিপি, গুহা চিত্রের নিদর্শন থেকে শুরু করে আধুনিক বর্ণমালার ধারাবাহিক বর্ণনা ফুটে উঠেছে এই সংরক্ষণশালায়।
আর্কাইভ সহকারী আহাদ হোসেন বলেন, ‘বাংলা বর্ণমালা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন বর্ণমালার বিকাশ, সেই বিকাশের আদি সম্পর্কে একটা সম্মুখ ধারণা পেতে পারেন।’
জাদুঘর ও আর্কাইভ, লাইব্রেরিকে আরও সমৃদ্ধ করতে আছে নানা উদ্যোগ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. শাফীউল মুজ নবীন বলেন, ‘বাংলা ছাড়াও আরও ৪০টি ভাষা রয়েছে। সেই ভাষাগুলো যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেই চেষ্টা চলছে। তরুণ সমাজ আহ্বান করবো সরেজমিনে যদি তারা দেখেন, তাহলে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হবে। এই তরুণদের মধ্য থেকে ভবিষ্যতে আমরা হয়তো গবেষক পাব।’
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এই ভাষা জাদুঘর।
এএইচ/