বাবা-ছেলের ১০০ টাকার অভিনব চুক্তি, কান্না করা বারণ!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
শৈশব হচ্ছে এক দুরন্তপনার বয়স। বড়রা যাই বলুক, সেদিকে মনোযোগ দেয়ার বা গুরুত্ব দেয়ার ফুসরত মেলেনা এই বয়সে। আজকের দিনে আবার নিউক্লিয়ার পরিবারের মা-বাবারা চট করে সন্তানের গায়ে হাত তুলতে চান না। ফলে সন্তানকে সামলাতে গিয়ে খুব বেগ হতে হয় তাদের। এজন্য সন্তানের সঙ্গে নানা রকম ট্রিক ব্যবহার শুরু করছেন তারা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পিতা-পুত্রের এক অভিনব চুক্তিপত্র সামনে আসতেই সেই ছবি যেন একেবারে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠল সবার সামনে।
এই চুক্তি হয়েছে ছয় বছরের এক পুচকের সঙ্গে তার বাবার। সেই চুক্তি অনুযায়ী, দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলা ও কান্নাকাটি, হল্লাহাটি না করার সাপ্তাহিক পুরস্কার হিসেবে ১০০ টাকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে আবির নামের শিশুটির বাবা।
ওই রুটিনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সারাদিনের হিসেব। সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠা। তার দশ মিনিট আগে অ্যালার্ম দেওয়া থাকবে। এরপর ব্রাশ করা, গোসল করা থেকে থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া- সব কিছুর জন্য়ই বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়। টিভিও দেখা যাবে কেবলই খাওয়ার সময়ে। এছাড়াও রয়েছে কান্না, চিৎকার করা ও গজগজ না করার শর্ত। সব কিছু মেনে চললে মিলবে দৈনিক ১০ টাকা ও সাপ্তাহিক ১০০ টাকা পুরস্কার।
আবিরকে এই পরস্কার দেওয়ার ব্যপারে তার বাবা আরেক পোস্টে জানান, প্রথমে তিনি স্টার ও পয়েন্ট সিস্টেম চালু করেছিলেন। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ছোট্ট আবির সারা দিন দুষ্টুমি করলেও স্টার বা পয়েন্ট বেশি পাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করছিল । তাই এই সিদ্ধান্ত।
ভাইরাল হওয়া এই অভিনব চুক্তিপত্র দেখে অনেকেই মজা পেয়েছেন। আবার অনেকে সমালোচনাও করেছেন। এইটুকু ছেলেকে এভাবে টাকার টোপ দিয়ে কাজ করানোর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
আবার কারও মতে, এভাবে চাপ দেওয়া হলে আগামিদিনে হয়তো ছেলেটি অনিশ্চয়তায় ভুগতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, এই নতুন চুক্তি কতটা মেনে চলে একরত্তি আবির। সেজন্য তার বাবার পরের পোস্টের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/