ধূমপান ছাড়াই ফুসফুসের ক্যানসার! জানুন ৪টি কারণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৩ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
ফুসফুস আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটির মাধ্যমেই শ্বাস-প্রশ্বাস চলার পাশাপাশি শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যায়। এই বিশেষ অঙ্গেও ক্যানসার হয়। ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার। এই অঙ্গে ক্যানসারের প্রধান কারণ হল ধূমপান। নিয়মিত ধূমপানকারীদের মধ্যে এই রোগ খুব বেশি দেখা যায়। তবে অধূমপায়ীদেরও কয়েকটি ভুলের কারণে এই রোগ হয়।
চলুন জেনে আসি অধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ..
> আপনি ধূমপান করেন না। কিন্তু ধূমপায়ীদের সঙ্গে থাকেন। তারা ধূমপান করার সময় সঙ্গে থাকেন। এছাড়া অনেক সময় মানুষ না চাইলেও তার সামনে অনেকে ধূমপান করেন। এক্ষেত্রে সিগারেট না পান করার পরও মানুষের শরীরে পৌঁছে যায় সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া। এই কারণেও হয় ধূমপান। এক্ষেত্রে প্যাসিভ স্মোকিং করা মানুষের ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপানের আশঙ্কা থাকে।
> বর্তমানে মানুষ আধুনিকতার চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। তবে এই আধুনিক যুগ আপনার সামনে এনেছে অনেক সমস্যার কারণও। এমনই একটি সমস্যা হল বায়ু দূষণ। কল কারখানা হোক আর গাড়ির ধোঁয়া, বাতাসে মিশছে সব বিষাক্ত পদার্থ। এই পদার্থ অনায়াসে বাধাতে পারে রোগ। এমনকী দীর্ঘদিন এই বায়ুদূষণের মধ্যে থাকলে একটা সময় হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার। তাই এখন সচেতন থাকা ছাড়া কোনও গতি নেই।
> অ্যাসবেস্টস হল একধরনের খনিজ। দেখা গিয়েছে, যেসকল মানুষ এই খনিজ নিয়ে কাজ করেন, অর্থাৎ যাদের নাক দিয়ে এই খনিজ সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছায় তাদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
> ইউরেনিয়াম নষ্ট হয়ে গেলে তার থেকে বেরিয়ে আসে রেডন গ্যাস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এই রেডন গ্যাসের সম্পর্কে থাকলে দেখা দিতে লাং ক্যানসার।
সূত্র: এই সময়
এমএম/