ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

কী আছে জায়েদ খানের ভাগ্যে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েও যেন হচ্ছে না শেষ। ভোট ও ফল ঘোষণার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এখনও চলছে আলোচনা-বিতর্ক। ঝুলে আছে জায়েদ খানের ভাগ্য। যা নির্ধারণ হবে শনিবার।

এবারের নির্বাচনে ১৩ ভোটে নিপুণকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ভোটের পর জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেন নিপুণ।

নিপুণের অভিযোগ বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাই জায়েদ খানের পক্ষে কাজ করেছেন। তাই ফলাফল তার বিপক্ষে গেছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগ এই আবেদনের রায় জানাবে বলে জানা গেছে। আপিল বিভাগের রায়ের উপরই জায়েদ খানের ভাগ্য ঝুলে আছে। এই আপিল বোর্ডের প্রধান হিসেবে আছেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।

এদিকে জায়েদ খান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকেও একই নোটিশ পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে জায়েদ খান বলেন, “নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মেয়াদ উত্তীর্ণ। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ সংস্থা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তিও নেই।”

জায়েদ খান আরও উল্লেখ করেন, “শনিবার নাকি একটি বৈঠক ডেকেছে, সেখানে আমাকেও উপস্থিত থাকতে হবে- এই মর্মে আমার পিয়নের কাছে চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে। আপিল বোর্ড ২৯ তারিখ বিকাল ৫টার পর আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে এবং নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে চলে গেছেন। এখানেই আপিল বোর্ডের কাজ শেষ।”

এদিকে নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে নির্বাচন নিয়ে একটি আইনি নোটিশ এসেছে। এখন আমাকে নোটিশ দেখে বুঝতে হবে সেখানে আসলে কী বলা হয়েছে।”

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনের পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা নিপুণ।

এরপর শিল্পী সমিতির নির্বাচনী গঠনতন্ত্রবহির্ভূত ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।

নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনার জন্য আসে।

চিঠিতে নির্বাচনে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এসএ/