পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় দেশেই তৈরি হল ভ্যাকসিন (ভিডিও)
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
দেশে তৈরি বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিন ‘বাংলা বার্ড ফ্লু এইচ নাইন ভ্যাক’ ৯৪ শতাংশ কার্যকর। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর ভ্যাকসিনটি বাজারে এনেছে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস। সল্প মূল্যে পাওয়ায় পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় ভ্যাকসিনটি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন খামারীরা।
২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বার্ড ফ্লু’র নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করা হয় ঝিনাইদহ সদরের এফএনএফ ফার্মাসিটিক্যালসে। গবেষণা কাজটি হয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক আলিমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে। স্থানীয়ভাবে আলাদা করা ভাইরাস থেকে তৈরি এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয় নিজস্ব খামারে। সফলতাও মেলে।
গেলো বছরের ৫ মে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পেয়ে বাণিজ্যিকভাবে টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়।
পোল্টি শিল্পকে রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এই টিকা।
টিকার কার্যকারিতা বিবেচনায় মুরগীর জীবদ্দশায় ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে প্রথম ডোজ, ২৮ দিনে দ্বিতীয় এবং ৬ মাস বয়সে দিতে হবে শেষ ডোজ।
স্বল্পমূল্যে টিকা পেয়ে খুশী খামারীরা।
খামারীরা জানান, ‘স্বল্পমূল্যে সারা বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিনটা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এটি পেয়ে আমরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছি।’
প্রতিষ্ঠানটির ১৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।
এফএনএফ ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মখলেছুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাই প্রথম বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে পৃথক পৃথক ভাইরাস থেকে ভ্যাকসিন তৈরি করেছি। আমাদের এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৪ শতাংশ, ইতিমধ্যে এটি পরীক্ষিত হয়েছে।’
এই টিকাকে সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনন্দ কুমার অধিকারী বলেন, ‘এতদিন বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিনটা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন আমাদের দেশে উৎপাদন হওয়াতে এটা সহজলভ্য হল।’
পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় আরও গবেষণা জরুরি বলে মনে করেন এই খাতের সাথে জড়িতরা।
এএইচ/