পাল্টে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিত্র (ভিডিও)
হাসান ফেরদৌস
প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার
বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। চলছে বড় বড় প্রকল্পের কাজ। লক্ষ কোটি টাকার এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যাবে বন্দরনগরীর সার্বিক চিত্র। একই সঙ্গে নগর সম্প্রসারণের কথাও বলছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
দেশের আমদানি-রফতানির নব্বই শতাংশই হয়ে থাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে। বন্দর সুবিধায় এখানে গড়ে উঠেছে শিল্প-কলকারখানা। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় নগরজুড়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
নির্মাণ করা হচ্ছে বর্জ্য শোধনাগার, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, এ্যালিভেটেড রোড, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল, মিরশ্বরাই-আনোয়ারায় শিল্পাঞ্চল, মহেশখালী ও বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দরে বে-টার্মিনাল, কনটেইনার টার্মিনাল, পতেঙ্গা ফৌজদারহাট সংযোগ সড়ক, খাল খননসহ নানামুখী উন্নয়ন কাজ।
ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে দুটি ফ্লাইওভারের কাজ। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ১৩শ’ মেঘওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। চলতি বছরেই উৎপাদনে যাবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এসব মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে শিল্প বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ার ফলে জনসংখ্যার চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। এ জন্য দ্রুত নগরীর আয়তন বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন তারা।
বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে হয় সেজন্য চট্টগ্রামের উপর সরকার নজর দিয়েছে। এখানে টানেল, টার্মিনাল হচ্ছে, ইকোনমিক জোন হচ্ছে যাতে বিদেশিরা এখানে ইনভেস্ট করতে পারেন।’
প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি আধুনিক শিল্প ও বাণিজ্যনগরীতে রূপ দিতে পরিকল্পিতভাবে অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলা উপরও জোর দিচ্ছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা। তারা বলছেন, কাজ শেষ হলেই সত্যিকার অর্থে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হবে চট্টগ্রাম।
শিল্পদ্যোক্তা নাসির উদ্দন চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম-ঢাকার যে কানেক্টিভিটি সেটা দুর্বল। সেটিকে আরও এলিভেটেড বা ডেডিকেটেড করা হলে আমাদের ইকোনমি প্রচণ্ডভাবে এগিয়ে যাবে।’
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, মূল চ্যালেঞ্জটা হলো বাস্তবায়নের। আমাদের পরিকল্পনার সবই বিশ্বমানের। এটা করতে যেটা দরকার সেটা হলো পরিকল্পিত সম্প্রসারণ।’
এইসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম সত্যিকার অর্থেই একটি বাণিজ্য নগরীতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রামের জনগণ।
এএইচ/