ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

যৌতুক মামলা থেকে খালাস পেলেন সংগীত পরিচালক ইমন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:৩০ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার

দ্বিতীয় স্ত্রী নৃত্যশিল্পী জিনাত কবির তিথির দায়ের করা যৌতুকের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। সাক্ষী না আসায় এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৯ বছর আগে তিথি যৌতুকের মামলাটি করেন ইমনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গঠনের পর থেকে প্রায় সাড়ে আট বছরের বেশি সময় চলমান ছিল মামলাটি।

এই সাড়ে আট বছরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫টি তারিখ নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। বাদী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে না আসায় তিথির বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। এরপরও তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হননি। এছাড়া মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষও চালাতে আগ্রহী না থাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫ (এইচ) ধারায় ইমনকে সম্প্রতি খালাস দেন ঢাকার ৭ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার।

২০১৩ সালের ২৯ মার্চ দায়ের করা এ মামলায় বাদী তিথির পাশাপাশি সাক্ষী ছিলেন নকিব আহসান নুর, সোহেল, রেজাউল বাশার, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদ পারভেজ, কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার রেকর্ডিং অফিসার ফজলে রহমান, শারিফুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন চিকিৎসক। যৌতুকের মামলায় প্রথমে বাদীকে সাক্ষ্য দিতে হয়। বাদী সাক্ষ্য দিতে না আসায় অন্য সাক্ষীদেরও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা অরেঞ্জ গণমাধ্যমে বলেন, ‘‘যৌতুকের মামলায় প্রথমে বাদীকে সাক্ষ্য দিতে হয়। মামলার বাদী সাক্ষ্য দেওয়ার পর অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ মামলার বাদীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি জারি করেন আদালত। এরপরও তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হননি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর থেকে প্রায় সাড়ে আট বছর চলমান ছিল। বাদীর বাসার ঠিকানা থেকে সমন বারবার ফেরত আসে। মামলার বাদী যে ঠিকানা দিয়ে মামলা করেছেন সে ঠিকানায় তাকে পাওয়া যায়নি। তাই আদালত আসামি ইমনকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ২৬৫ (এইচ) ধারা মোতাবেক মামলার দায় থেকে খালাস দেন।’’

এমএম/