৬শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন মনসাবাড়ি (ভিডিও)
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার
৬শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন শরীয়তপুর সদর উপজেলার মনসাবাড়ি। একই এলাকায় রয়েছে দুইশ’ বছরের পুরনো ২শ’ ফুট উঁচু মঠ। সময়ের বিবর্তনে প্রাচীন স্থাপনাগুলো এখন জরাজীর্ণ অবস্থায়। তবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
জেলা সদর থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে ধানুকা গ্রামে ৬শ’ বছরের পুরনো ময়ূরভট্টের বাড়ি; মনসাবাড়ি নামেই যার সমধিক পরিচিতি।
এখানে রয়েছে দুর্গামন্দির, মনসামন্দির, কালীমন্দির, নহবতখানা ও একটি সংস্কৃত টোলঘর বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নানা কারুকার্য খচিত স্থাপনাগুলো এখন ধ্বংসপ্রায়। একই উপজেলার রুদ্রকর গ্রামে রয়েছে ২শ’ বছরের পুরোনো মঠ।
প্রত্নতত্ত্ব গবেষকরা জানান, গৌড়িকান্ত নামে এক পণ্ডিত মশাই সংস্কৃত ভাষায় পাঠদান করতেন মনসাবাড়ির টোলঘরে।
শরীয়তপুর প্রত্নতত্ত্ব গবেষক জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই বাড়িটি ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। কিন্তু এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা বেহাত হয়ে গেছে অনেকটা। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত ইমারতগুলোকে যদি মেরামত করা যেত তাহলে একটা ঐতিহাসিক বিষয় হয়ে যেত।’
প্রাচীন এই স্থাপনাগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবি বর্তমান স্বত্ত্বাধিকারী ও নাগরিক সমাজের।
বংশানুক্রমে স্বত্বাধিকারী শ্যামাপদ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এটা সম্ভব নয়। সরকার থেকে যদি কোন পদক্ষেপ নেয়া হতো তাহলে এটা সংরক্ষিত হতে পারে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বলেন, ‘এই বাড়িটি সংস্কার করা হোক। সংস্কারের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করুক এটা আমরা চাই।’
ঐতিহ্যবাহী মনসাবাড়ি ও রুদ্রকর মঠ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘আমাদের সেভাবে এগুনোর জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে সাথে দরকার। আর রুদ্রকর মঠ যে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তার জন্য আশু ব্যবস্থা আমরা নিব।’
প্রশাসনের আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চান এলাকাবাসী।
এএইচ/