পানির অতিরিক্ত মূল্য না দেয়ার ঘোষণা রাজশাহীবাসীর
রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:১৭ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার
রাজশাহী ওয়াসার পানি ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না। দূষিত পানি পানে নানা রকম অসুখ-বিসুখ হয়। পানিতে অতিমাত্রায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এরপরও মানুষের মতামত না নিয়ে পানির দাম তিন গুণ বাড়ান হয়। এই অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করা হবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে রাজশাহীবাসী।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা পানির অতিরিক্ত মূল্য না দেয়ার ঘোষণা দেন।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য গোলাম নবী রনির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সহ-সভাপতি এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জামিল ব্রিগেডের প্রধান সমন্বয়ক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু প্রমুখ।
জামাত খান বলেন, করোনার কারণে বেকারত্ব বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ওয়াসা সুযোগ বুঝে পানির দাম তিন গুণ বাড়িয়েছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর মানুষের কথা না ভেবেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে তারা।
ওয়াসা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে রাজশাহীর সব মানুষকে নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করা হবে মন্তব্য করেন তিনি।
দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘খেটে খাওয়া মানুষই এই পানি বেশি ব্যবহার করেন। ওয়াসা যদি পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে রাজশাহীর কেউই পানির দাম পরিশোধ করবেন না।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওয়াসার পানি দুর্গন্ধময়। ঠিকমতো পানি পান করা যায় না। এমন মানহীন পানির দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই। পানির মান না বাড়িয়ে চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত মূল্য রাজশাহীবাসী মানবে না।’
উল্লেখ্য, জানুয়ারির শুরুতে পানির দাম তিন গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি এক হাজার লিটার পানির মূল্য আবাসিকে ২ দশমিক ২৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৮১ টাকা এবং বাণিজ্যিকে ৪ দশমিক ৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ দশমিক ৬২ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এএইচ/