দ্বিগুণ হয়েছে দেশের লৌহজাত সামগ্রীর বাজার (ভিডিও)
রফিকুল বাহার
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
গত এক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে দেশের লৌহজাত সামগ্রীর বাজার। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তৈরি হয়েছে দক্ষ উদ্যোক্তা গোষ্ঠি। লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের এই শিল্পের ভবিষ্যত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেমন প্রস্তুতি দরকার সেসব নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আধুনিক বিশ্বে লোহার বহুমাত্রিক ব্যবহারকে ‘উন্নয়নের সূচক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধরনের সূচক বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান এক সময় নিচের দিকে থাকলেও ক্রমশ বদলে যাচ্ছে সেই চিত্র। আমাদের দেশের উন্নয়নের গ্রাফ উপরের দিকে নিতে ভূমিকা রাখছে সরকারের সাথে বেসরকারি উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. প্রফেসর সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘যতগুলো মেগা প্রজেক্ট আছে এগুলো প্রভাবে স্টিল সেক্টরটা বাংলাদেশে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বাড়তে থাকবে।’
পিএইচপি চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন আমরা যেখানে ১০ মিলিয়ন টন করছি এটা ১০০ মিলিয়ন টনে যাবে। পৃথিবীতে আমরা সবাই এখন মিলেমিশে বসবাস করছি। আমাদের সেই কুঁড়ে ঘরে বসার সময় নাই।’
উৎপাদন, সরবরাহ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গত এক দশকে লোহার বাজারকে ক্রমশই বিস্তৃত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন, সে কথা বলছেন এই খাতের অন্যতম শিল্প মালিক।
আকার ও বিনিয়োগের দিক থেকে লোহা শিল্প বেশ বড়। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে ব্যবসা সফল হওয়া বড় ধরনের চ্যালেঞ্জও বটে। কিন্তু ভারি এই শিল্পের ব্যাপারে আশাবাদী দেশের অর্থনীতিবিদরাও।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বেশ কয়েকটি কারখানা অতি দ্রুত তাদের প্রযুক্তির উন্নয়ন করেছে। এই ইস্পাতের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। আগামী ১ দশকে কমার কোন কারণ নাই।’
এই শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগেও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/