ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

মাদাগাস্কারে ঘূর্ণিঝড়ে ২১ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশ মাদাগাস্কারে ঘূর্ণিঝড় বাতসিরাইয়ের তাণ্ডবে মারা গেছেন অন্তত ২১ জন। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

শনিবার রাতে দ্বীপটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর রোববার রাত পর্যন্ত এই ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে।

বাতসিরাইয়ের কারণে জমির ধান, ফল ও শাকসবজিও নষ্ট হয়েছে। এসব ফসল নষ্ট হওয়ায় খরা প্রবণ দেশটি চলমান খাদ্য সঙ্কট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ত্রাণ সংস্থা।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর একটি মানানজারিতে বহু ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু বাড়ির দেয়ালগুলো দাঁড়িয়ে থাকলেও ছাদ উড়ে গেছে। চারদিকে ধ্বংসাবশেষ ও উপরে পড়া, ভেঙে যাওয়া গাছপালা পড়ে আছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা সেজি কাজি বলেন, “আমাদের বাড়িটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় আমরা বের হয়ে গিয়েছিলাম, হঠাৎ করেই এটি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।”

তিনি জানান, তিনি ও তার প্রতিবেশীরা একটি স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন যেটিকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু ঝড়ে ভবনটির ছাদ উড়ে যায়, ফলে তারা খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। 

“আমরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। সব ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। নদী ও সাগরের পানি বেড়ে গেছে, সব ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি।”

দেশটির দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থা জানিয়েছে, ১৪ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বা ৭০ হাজারের বেশি মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৬২ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আছে আর বাকি ৮ হাজার হয় খোলা আকাশের নিচে অথবা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে আছে। 

মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আনা নামের আরেকটি প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় প্রায় ৩ কোটি বাসিন্দার মাদাগাস্কারে আঘাত হেনেছিল। আনার তাণ্ডবে দেশটিতে ৫৫ জন নিহত ও প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

ওই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দ্বীপটির আরেকটি অংশে বাতসিরাই আঘাত হানায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে বয়ে আসা প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেওয়ায় বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

এসবি/