পরীক্ষা না দিয়ে ভর্তি হতে এসে শাবিপ্রবিতে ১ জন আটক
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ে ভর্তি হতে এসে আটক হয়েছেন ইকবাল হোসেন সাইদ নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। তার পরিবর্তে রাশেদ নামে এক ব্যক্তি পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন ইকবাল।
মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি। পরে প্রক্টরিয়াল বডির জিজ্ঞাসাবাদকালে এ স্বীকারোক্তি দেন ইকবাল।
জানা যায়, শাবিপ্রবিতে চলমান তৃতীয় ধাপের ভর্তি কার্যক্রম চলাকালীন ভর্তি হতে আসেন ইকবাল হোসেন সাইদ। সে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার সবুজবাগ এলাকার রফিকুল ইসলামের (প্রবাসী) ছেলে। গত ২৪ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে মানবিক শাখার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইকবালের এডমিট কার্ডের পরিচয় (ছবি) পরিবর্তন করে রাশেদ নামের এক ব্যক্তি ভর্তি পরীক্ষা দেন। তার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৩৫১৭৬৩ এবং মানবিক শাখায় তার মেধাক্রম ৭৫৮।
শাবিপ্রবির ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ হুসাইনী বলেন, 'আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর সকল কাগজপত্র যাচাই করছি। এই যাচাইয়ে প্রথমে তার স্বাক্ষর দেখে সন্দেহ হয়। পরে তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার জিজ্ঞেস করা হয় এবং লিখতে বলা হয় তাকে৷ সেখানে তার লেখা আর উত্তরপত্রের লেখা এক নয়। তার ছবির সঙ্গেও অমিল ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে। কিন্তু কোথায় পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো সেটাও সে ঠিকভাবে বলতে পারছিলো না।
এভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে জালিয়াতির কথা স্বীকার করে এবং বলে সে ভর্তি পরীক্ষা দেয়নি, তার পরীক্ষা দিয়েছে রাশেদ নামের এক ব্যক্তি। এরপরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বডির কাছে তাকে হস্তান্তর করি'। সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল জানান, 'জালিয়াতি করে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন সাঈদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বন্ধু আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করে এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সে ওই টাকা দেয়।'
‘আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আটককৃত শিক্ষার্থী। এদিকে আতিকুরের বড়ভাই শহিদুল ইসলাম এই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন ইকবাল। শহিদুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বলে জানান আটককৃত শিক্ষার্থী। পরে ইকবাল হোসেনের বদলে পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়েছিল রাশেদ নামের ব্যক্তি। কিন্তু, আটককৃত শিক্ষার্থী রাশেদ নামের ওই ব্যক্তিকে চিনে না বলে জানায়।’’
পহিল আরও বলেন, 'আমরা এই শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে জানানো হয়েছে, উনি ভর্তি কমিটির সঙ্গে কথা বলে মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এসি