ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে কুমিল্লা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

সিলেট ও কুমিল্লার অধিনায়ক রবি বোপারা ও ইমরুল কায়েস

সিলেট ও কুমিল্লার অধিনায়ক রবি বোপারা ও ইমরুল কায়েস

বিপিএলের চলতি আসরের ২৬তম ম্যাচে মাহমুদুল হাসান জয়ের অনবদ্য ফিফটিতে সিলেট সানরাইজার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এর আগে ছয় ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে সাকিবের বরিশাল।

অষ্টম বিপিএলের সিলেট পর্বে বুধবার সন্ধ্যায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান জড়ো করে সিলেট। ব্যাট হাতে এদিনও চড়াও হন কলিন ইনগ্রাম। যদিও আগের ম্যাচের মত এবারও আক্ষেপে পুড়তে হয় তাঁকে, এদিনও মাত্র ১১ রানের জন্য শতক হাতছাড়া করেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার।

আসরে নিজের তৃতীয় অর্ধশতক হাঁকিয়ে শেষ ওভারে মুস্তাফিজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬৩ বলে করেন ৮৯ রান, হাঁকান ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। এর আগের ম্যাচেও মাত্র ৪৯ বলে ৯০ রান করে আউট হন ৩৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি।

এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ইনগ্রামের সঙ্গে মিলে ১০৫ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয়। মাত্র ৪ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হওয়া বিজয় ৪৬ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। বিজয়ের ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।

কুমিল্লার পক্ষে ২৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। যার মাধ্যমে ৭ ম্যাচ খেলে ১১.২৬ গড়ে ১৫টি উইকেট নিয়ে সাকিবকে টপকে শীর্ষে উঠে বসলেন কাটার মাষ্টার। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন সুনীল নারাইন ও তানভীর ইসলাম।

১৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই লিটন দাস ও ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। এরপর মঈন আলীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে মঈন বিদায় নিলেও হাল ছাড়েননি জয়।

যদিও অর্ধশতকের পর বিদায় নিতে হয় তাকেও। তার আগে ৫০ বলে ৬৫ রান করেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায়। এর মাঝে ইমরুল কায়েস ৮ বলে ১৬ ও আরিফুল হক গোল্ডেন ডাকের শিকার হলে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা।

তবে সেই চাপ দূর করে কুমিল্লাকে দারুণ এক জয় এনে দেন সুনীল নারাইন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠে নিশ্চিত করেন দলের প্লে-অফ। ১২ বলে গড়া তার ২৪ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার রনি। যার ফলে কুমিল্লা জয় পায় ১ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই। 

অন্যদিকে, ৯ ম্যাচে মাত্র একমাত্র জয় পাওয়া সিলেট প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে বাদ পড়ল প্লে-অফের দৌড় থেকে। তবে প্লে-অফে জায়গা পেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবতীর্ণ সমান চারটি করে জয় পাওয়া ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যে।

যদিও ৯ পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের তারকাবহুল দলটি। অন্যদিকে, আট ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে মুশফিকের খুলনা। সম্ভাবনা আছে এক ম্যাচ হাতে থাকা চট্টগ্রামেরও। 

কেননা, মিরাজ-আফিফদের শেষ ম্যাচটি যে দুর্বল সিলেটের বিপক্ষেই। যদিও ছেড়ে কথা বলবেন না মিঠুন-মোসাদ্দেকরা। তবে প্রথম সাক্ষাতে ২০২ রান করে পাওয়া ১৬ রানের জয়টাই আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে চট্টগ্রামকে। 

এনএস//