রাস্তার অভাবে ভোগান্তিতে দৌলতপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে আবাদ হয়েছে নানা জাতের রবি ফসল। পিছিয়ে থাকা চরের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় ভুমিকা রাখছে এসব ফসল। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফসল ঘরে তোলা ও বাজারজাত করায় ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের।
দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা দুটি ইউনিয়ন রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারি। বর্ষায় নদী ভাঙ্গনে পদ্মা তীরবর্তী এখানকার মানুষকে লড়াই করে চলতে হয়।
তবে কয়েক বছর ধরে জেগে উঠা চরে নানা ফসলের আবাদ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে চরের পলি মাটিতে যেন সোনা ফলে। বিশাল চরজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। গম, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, কালোজিরা, লাউ, ধনিয়াসহ নানা ফসলের ভালো আবাদ হয়েছে এবার।
চরে বিদ্যুৎ গেলেও সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা; অনেক স্থানে নেই সেতু। গরু-মহিষের গাড়িতে ফসল আনা নেয়া করতে পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে।
এই প্রসঙ্গে ইউপি রামকৃষ্ণপুরের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল বলেন, ‘‘রাস্তাঘাট হলেই চরের চাষিদের আবাদে আর কোন সমস্যা থাকত না।’’
কৃষিকাজে চাষীদের নানাভাবে সহযোগিতা দেয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগও।
খামারবাড়ি উপজেলার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিষ্ণু পদ সাহা বলেন, ‘‘কৃষকরা কীভাবে নির্বিঘ্নে ঘরে ফসল তুলতে পারবে, কীভাবে আরো বাম্পার ফলন ফলাতে পারবে সে ব্যাপারে আমাদের কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে এবং কৃষি অফিসের মাধ্যমে সবসময় পরামর্শ দিচ্ছি।’’
চরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে পাকা সড়ক ও সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি এখানকার বাসিন্দাদের।
এমএম/