যৌতুকের জন্য শিক্ষিকা স্ত্রীর চুল কেটে দিলেন স্বামী
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
ঢাকার দোহারের লটাখোলা এলাকায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী বাহারুল ইসলাম হিরু’র বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন স্ত্রী নুপুর সুলতানা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষিকা নুপুর সুলতানা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চৌকিঘাটা এলাকার মো. জালাল উদ্দিনের কন্যা এবং অভিযুক্ত বাহারুল ইসলাম হিরু দোহার উপজেলার লটাখোলা এলাকার গুঞ্জর আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশ বছর আগে নুপুর সুলতানার সঙ্গে বাহারুল ইসলাম হিরুর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। নুপুর সুলতানা নবাবগঞ্জ উপজেলার কালুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। বিয়ের পর থেকে কয়েকদফায় এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকসহ ধার নেন হিরু। যা দিচ্ছি দিচ্ছি বলেও আর দেন নাই। এরপরও আবার নুপুরকে টাকার দাবিতে চাপ দিচ্ছিলেন হিরু। গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষিকা তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি এলে একই অযুহাতে তাকে মারধর করে ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে তার মাথার সব চুল কেটে দেন হিরু।
এক পর্যায়ে নির্যাতিতা ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে তার বাবাকে জানালে তিনি তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দোহার থানায় নিয়ে আসেন। পরে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে যৌতুকের কথাও বলা আছে।
এ ঘটনার একদিন পর বুধবার রাতে মামলা হওয়ার পরেই অভিযুক্ত বাহারুল ইসলাম হিরুকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করেছে দোহার থানা পুলিশ।
দোহার থানা ওসি (তদন্ত) এসএম কামরুজ্জামান জানান, এটা একটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা নিয়েছি এবং আসামি বাহরুল হিরুকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।
এনএস//