ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

দেশে সংক্রমণের ৮২ শতাংশই ওমিক্রন

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৮২ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রন্ত বলে জানিয়েছে 'বিএসএমএমইউ'। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে ওমিক্রনে সংক্রমণের হার অনেক বেশি হলেও মৃত্যুর হার কম।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউয়ের উদ্যোগে পরিচালিত কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

গবেষণায় বলা হয়, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিএসএমএমইউতে মোট ভর্তি রোগী এবং বহির্বিভাগের রোগীর মধ্যে ৮২ শতাংশের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত। যেখানে ১৮ শতাংশ মানুষের শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

শুধু বহির্বিভাগের রোগীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ ওমিক্রনে সংক্রমিত। তাদের মধ্যে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট তিনটি ধরন পাওয়া গেছে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ওমিক্রনের বিএ.টু (BA.2) ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।

বলা হয়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রনে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট জিনোমের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি মিউটেশন পাওয়া গেছে। যার বেশির ভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে হয়েছে। এ স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। স্পাইক প্রোটিনের গঠনগত বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরও ওমিক্রন সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএসএমএমইউর কোভিড-১৯ এর ৯৩৭টি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এ রিপোর্ট বিএসএমএমইউর চলমান গবেষণার সাড়ে সাত মাসের ফলাফল।

বিএসএমএমইউর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সী রোগী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী রোগীদের সংখ্যা বেশি। শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আক্রান্তের হার ৪৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ শতাংশ নারী।

কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে যাদের ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের রোগের প্রখরতা বেশি। এছাড়া মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের হার বেশি।

এসবি/