ইভটিজিংয়ের অভিযোগে যুবককে কারাদণ্ড, স্ত্রীর দাবি ষড়যন্ত্র
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:৫৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সকে ইভটিজিং ও মারধর করার অভিযোগে প্রসান্ত কুমার দাস (২৫) নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে প্রসান্ত কুমারের স্ত্রী দোলন দাস এক সংবাদ সম্মেলন ও লিখিত অভিযোগে জানান, চিকিৎসা করাতে গিয়ে পূর্ব আক্রোশের জেরে বিতর্কিত টিএইচ ডাঃ তপসের ষড়যন্ত্রে প্রসাশন কারসাজি করে তার স্বামীকে সাজা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ফাতিমা খানমকে অফিস চলাকালিন অবস্থায় ইভটিজিং ও মারধরের অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আমুয়া গ্রামের শুখরঞ্জন দাসের পুত্র প্রসান্ত কুমার দাসকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় দোলন দাস সংবাদ সম্মেলন ও লিখিত অভিযোগে জানান, কিছুদিন পূর্বে কাঠালিয়া উপজেলার বিতর্কিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তপস গৃহবধূ মাহেনুর বেগমকে সিজার করতে গিয়ে জরায়ূ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় তার স্বামী প্রসান্ত কুমার সংবাদ লেখে ও সকল সাংবাদিককে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ডাঃ তাপসের ইন্ধনে স্থানীয় ক্লিনিক মালিক আলানুর জমাদ্দার ও জহিরুলসহ কয়েকজনকে তাদের বাড়ী এসে অকথ্য গালাগাল ও হুমিক দেয়। যার প্রেক্ষিতে ৯ জানুয়ারি প্রসান্ত কুমার ডাঃ তাপসের লোকজনের হাত থেকে নিরাপত্তা চেয়ে কাঠালিয়া থানায় একটি জিডি (নং-৪৪১) দায়ের করে।
বুধবার সকালে তার চিকিৎসা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে প্রসান্তকে ডাঃ তাপস ডেকে তার রুমে নেয়। রুমে ডুকতেই দরজা আটকে সে ও তার সহযোগীরা প্রসান্তকে মারধর করে। এরপর বিকালে ইভটিজিংয়ের কাহিনী সাজিয়ে ইউএনওর সহযোগীতায় তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে তাকে ৬মাসের কারাদণ্ড দেয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এসি