মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম আদালতে মামলার আবেদন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
জিয়া পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি’র বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদ।
তবে কুড়িগ্রাম সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে কোন আদেশ না দিয়ে পেন্ডিং রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুড়িগ্রাম জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদ বাদি হয়ে সদর আমলী আদালতে এই পিটিশন দাখিল করেন। আবেদনে ডা. মুরাদ ছাড়াও মহির উদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল নামে আরও একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী এডভোকেট তারিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট তারিকুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ ও সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মিজানুর রহমান বাদীর আবেদনটি পেন্ডিং রেখেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আদেশ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন।
মামলার আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ডা. মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালিন সময় গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে অপর অভিযুক্ত মহির উদ্দিন হেলাল নাহিদকে একটি সাক্ষাৎকার প্রদান করেন যা পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ ও প্রচার করেন।
প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচীপূর্ণ নারী বিদ্বেষী এবং যে কোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানীকর ভাষা ব্যবহার করেন। এ ধরণের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার করে আসামিদ্বয় দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির মাধ্যমে ১৮৬০ সনের পেনাল কোডের ১৫৩-ক/ ৫০৫-ক/৫০৯ ধারায় অপরাধ করেছেন।
কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন জানান, এটি গৃহিত হয়েছে তা বলার সুযোগ নেই। এটি পেন্ডিং রয়েছে। পরবর্তীতে বিচারকের আদেশ পেলে বোঝা যাবে মামলাটি গৃহিত হল কিনা।
এসি