ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

‘খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:২২ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম আজ বলেছেন, মালয়েশিয়ায় দায়িত্ব পালনকারী প্রাক্তন হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ পদক্ষেপ নিচ্ছে। মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশের হাতে তিনি আটক হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এম খায়রুজ্জামান বর্তমানে মালয়েশিয়ার একটি নির্বাসন কেন্দ্রে রয়েছেন। আমি যতদূর জানি, তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং তার বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্ত করার সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করি যে, আমরা তাকে শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনব এবং তারপরে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করবে।” 

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার এক চিঠিতে নিশ্চিত করেছে যে, এম খায়রুজ্জামানকে সেখানে অভিবাসন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, "আমি প্রকৃতপক্ষে এ সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না (যে আইনটি লঙ্ঘন করা হয়েছে)। দূতাবাস বিষয়টি জানে। এটি ওভার স্টে করার একটি সমস্যা হতে পারে বা যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি (এম খায়রুজ্জামান) সেখানে অবস্থান করছিলেন, তার মেয়াদ হয়তো শেষ হয়ে গেছে।” 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এম খায়রুজ্জামানের সত্যিই জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে জানান, এম খায়রুজ্জামানের জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড ছিল কি না তা তিনি জানেন না।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে বসবাসরত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এবং পরে খালাস পান।

২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় তলব করা হয়। খায়রুজ্জামান সেখানে থাকার জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এসি