ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বন্ধুদের ভালোবাসায় চবির হলে হলুদের ছোঁয়া

জুবাইর উদ্দিন, চবি

প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিকে এসে বন্ধুদের থেকে এমন সারপ্রাইজ পাবো তা কখনো ভাবতেই পারিনি। বন্ধুদের ভালোবাসার কাছে পৃথিবীর সবকিছু হার মানে। বিবাহোত্তর গায়ে হলুদের মাধ্যমে আমাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য তাদের কাছে আমি চিরঋণী।  

ঠিক এভাবেই একুশে টিভি অনলাইনের কাছে আবেগতাড়িত কন্ঠে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি হৃদয়।

বুধবার রাত আটটা। একে একে ফজলে রাব্বির সহপাঠীরা জড়ো হতে থাকেন আলাওল হলে। তখনো জানতেন না তাঁর জন্য এতো বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।

অপেক্ষার পালা শেষ। শুরু হলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। হৈ হুল্লোড়, বিয়ের রকমারি গানের সুর আর ঝিকিমিকি বাতি জ্বালিয়ে হলুদের ছোঁয়ায় হৃদয়কে বরণ করে নেন সহপাঠীরা।

মেয়েদের হলে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান কদাচিৎ দেখা গেলেও এই প্রথম ছাত্রদের আবাসিক হলে ভিন্নরকম আয়োজন। উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও হৃদয়ের সহপাঠী রাকিব উদ্দিন বলেন, বন্ধুকে সারপ্রাইজ দিতে কার না ভালো লাগে। সেই প্র‍য়াস থেকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। হৃদয়ের মুখে এক ফালি হাসি ফোটাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ফজলে রাব্বি হৃদয় মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে থাকেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার কাজলায়। বিয়ে করেছেন তারই বন্ধু ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মেয়ে সীমা আক্তারকে। সীমা আক্তার বর্তমানে কর্মরত আছেন জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডওয়াইফ কর্মকর্তা হিসেবে।

রাব্বির আরেক সহপাঠী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ছাত্র জীবনে বিয়ে করবার সৌভাগ্য সবার হয়না। আমাদের বন্ধু হৃদয় বিয়ে করে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা তাঁর বিবাহটাকে স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য ছোট এই অনুষ্ঠানটা করেছি। হৃদয়ের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।

ফজলে রাব্বি হৃদয় বলেন, বিয়েটা জীবনে একবার। অনুষ্ঠানও একবার কিন্তু করোনার কারণে পারিবারিকভাবে ছোটোখাটো ভাবে করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অন্যতম সেরা একটি মূহুর্ত। বন্ধুদের এমন আয়োজনে আমি সত্যিই অনেক খুশি। এমন আয়োজনের জন্য বন্ধুদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর বিবাহত্তোর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবনের এমন স্মৃতি খুব কম মানুষের কপালে জুটে।

সহপাঠীদের মধ্যে আরও ছিলেন, আফসার উদ্দিন, রাহাত মাহমুদ খাঁন, জুবাইর উদ্দিন, নাজমুস সায়াদাত, হোসাইন আহমেদ প্রমুখ।

গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম তুহিন, সদস্য রুমান হাফিজ, ইমাম ইমুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এসি