হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর রপ্তানি বন্ধ
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৭:৩৩ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
পার্কিং চার্জ বৃদ্ধি, ওভারলোডিংসহ ভারতের অভ্যন্তরে নানা জটিলতার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাথর রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
এতে করে দেশের বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাথরের আরো দাম বাড়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। তেমনি বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ কমার আশংকা করছেন বন্দর কতৃপক্ষ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে শনিবার সকাল থেকে বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্য শুরু হলেও বিকেল ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোন ধরনের পাথর রফতানি করেনি ভারত। তবে ভারতীয় সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট জানিয়েছেন চিপস পাথর লোড না হওয়ায় তা আজ ঢোকার সম্ভাবনা নেই তবে বোল্ডার পাথর রফতানি হবে।
ভারতের হিলির সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার বলেন, পাথরের ট্রাক খুব বেশি আজ রফতানি না হওয়ার সম্ভাবনাই রয়েছে। কারণ পাথরের ট্রাক বিশেষ করে চিপস পাথর লোডিং হয়নি। তবে বন্দর দিয়ে বোল্ডার পাথর রফতানি হবে শুধুমাত্র চিপস পাথর লোডিং না হওয়ায় সেটি আজ রফতানি নাও হতে পারে। ওভারলোডিং ও চার্জ নিয়ে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে সেটির সমাধান হয়ে গেলে তারপরে চিপস পাথর লোডিং শুরু হলে বাংলাদেশে রফতানি শুরু হবে। তবে কখন হবে সেটির কোন নির্দিষ্ট সময় বলা যাচ্ছেনা।
বাংলা হিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারত রফতানির বিষয়টি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরিণ বিষয়। তারপরেও আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রফতানিকারক আ্যসোসিয়েশেনর সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে তাদের পার্কিংয়ে কিছু একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে যা পাথর রফতানিতে মূল সমস্যা সেই সাথে ওভারলোডিং এর সমস্যাটিও রয়েছে। পূর্বে পার্কিংয়ে প্রবেশে প্রতিটি ট্রাকে যে ১শ টাকা করে নিতেন এখন সেটি বাড়িয়ে ৪শ টাকা হয়েছে। সেই সাথে পার্কিংয়ে ট্রাক হল্টেজ অবস্থায় থাকলে সারাদিন ৩০ টাকা করে দিতে হতো এখন সেটি বাড়িয়ে ঘন্টায় ৫০ টাকা করে নির্ধারন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় রফতানিকারক আ্যসোসিয়েশন তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছে এ বিষয়ে আলোচনা স্বাপেক্ষে তারা তাদের সিন্ধান্ত জানাবেন। যদি সুরাহা হয়ে যায় তাহলে আবারো পূর্বের ন্যায় বন্দর দিয়ে পাথর প্রবেশ করবে বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পাথরের ট্রাক ১৫ টনের বেশি আনা যাবে না। যা পাথর আমদানির জন্য সমস্যা। বেশি পরিমান পাথর ট্রাকে না আসলে পরিবহন খরচ নিয়ে আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। আর ভারত থেকে যদি পাথর আমদানি না হয় তাহলে দেশে পাথরের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। এতে করে আমাদের দেশে যে উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ড চলছে সেগুলোর উপরে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছি আমরা। আমরা এ বিষয়ে ভারতীয় রফতানিকারকদের সাথে বার বার যোগাযোগ করছি যাতে করে এটি দ্রুত সমাধান করে পাথর রফতানি স্বাভাবিক করা হয়।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পূর্বে ১শ থেকে ১শ ২০ ট্রাক পাথর আমদানি হলেও গত সপ্তাহ থেকে পাথরের আমদানি ৫০/৬০ ট্রাকে দাড়িয়েছে। তবে আজ শনিবার এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোন পাথরের ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে করে সরকার যেমন তার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের যে দৈনন্দিন আয় রয়েছে সেটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসি