ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বইমেলার চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২১’র বই মেলা। ঐতিহ্যবাহী ‘অমর একুশে  বই মেলা ২০২২’ আয়োজনে বাংলা একাডেমীতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, "মেলা শুরু হতে মাত্র একটি দিন বাকি আছে। সময় মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য মানুষ দিনরাত নিরলস কাজ করছে। নির্ধারিত সময়ে বই প্রেমীদের স্বাগত জানাতে অধিকাংশ প্রস্তুতি শেষ হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় বই প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য ৫০০ প্রকাশক প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৮০০টি স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর মেলায় প্রায় ৫৪০টি প্রকাশক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।

জালাল আহমেদ বলেন, অমর একুশে বইমেলা, লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের পুনর্মিলনের জায়গা হিসেবেও পরিচিত, যা সাধারণত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে শুরু হয়। কিন্তু এবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভিন্ন স্টলে কাজ করা কয়েকজন বলেন, ‘যথাসময়ে বইয়ের স্টলের নির্মাণকাজ শেষ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদিও এত অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা চ্যালেঞ্জিং বিষয়।

জালাল আহমেদ আরো বলেন, কোভিড ১৯ স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফেস মাস্ক এবং স্যানিটাইজিং হাত ছাড়া কাউকে মেলার মাঠে প্রবেশ করতে  দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, "আমরা মেলায় প্রবেশের আগে প্রত্যেকের জন্য ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছি। তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বইমেলা, একাডেমী প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মেলাস্থলের ১.৫ মিলিয়ন বর্গফুট জায়গার প্রতিটি কর্নারে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রোববার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্যানিটাইজিং সুবিধাসহ তিনটি করে বড় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার গেট থাকবে। রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন একটি প্রবেশ-প্রস্থান গেট থাকবে এবং অন্য দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের টিএসসির কাছে এবং বাংলা একাডেমির বিপরীতে থাকবে। এদিকে মাসব্যাপী বইমেলা ১৪ দিনে কমিয়ে আনায় লোকসানের আশঙ্কায় মেলার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন প্রকাশকরা।

প্রকাশক মাহবুবুল আলম খান বলেন, মহামারী পরিস্থিতির কারণে গত বছর বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থাকে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। বইমেলা ১৪ দিনে শেষ হলেও এক মাসের সমান খরচ হবে এবং প্রকাশকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন। আমরা আশাবাদী যে বইমেলা কর্তৃপক্ষ আমাদের উদ্বেগ বিবেচনা করবে এবং সময়কাল ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।

মাহবুবুল আলম বলেন, "আসলে বইমেলা অবশ্যই বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক উৎসব, তবে এটাও সত্য যে এই ঐতিহ্যবাহী মেলার সাথে কিছু বাণিজ্যিক বিষয় জড়িত। একুশের বই মেলা বাঙালি বইপ্রেমীদের উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়।’

এসি