ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হাভার্জ নৈপুণ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন চেলসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার

চেলসির ইতিহাসে নিজের জন্য বিশেষ একটা জায়গা তৈরি করে ফেললেন কাই হাভার্জ। প্রায় নয় মাসের ব্যবধানে এই তরুণের দুটি গোলেই তো দুটি মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল অল-ব্লুজরা। 

শনিবার রাতে ক্লাব ফুটবলের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে জয়সূচক গোলটি করেন হাভার্জ।

এর আগে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবশেষ আসরেও চেলসিকে শিরোপা এনে দেয়া গোলটি করেছিলেন জার্মান এ তরুণ মিডফিল্ডার। তার এই দুটি গোলেই টানা দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হল চেলসি।

এদিন আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে চেলসি। গোল হলেও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচ জিততে পারেনি ব্লুজরা।

যে কারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেই ত্রিশ মিনিটের মধ্যে মাত্র তিন মিনিট বাকি থাকতে কাই হাভার্জের সেই গোলে নিশ্চিত হয় কাঙ্ক্ষিত জয়। সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো চেলসি শিবির। হাতে ওঠে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা।

উত্তেজনাপূর্ণ এ ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটের সময় চেলসিকে এগিয়ে দেন রোমেলু লুকাকু। ক্যালাম হাডসন-ওডোইয়ের ক্রস থেকে হেড করে বল জালে জড়ান বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। সেমিফাইনালেও জয়সূচক গোলটি ছিল তার।

কিন্তু এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি চেলসি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের মধ্যে বল থিয়াগো সিলভার হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এতে গোলের সহজতম সুযোগ পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান রাফায়েল ভেইগা।

এরপর ৯০ মিনিটের মধ্যে আর গোলের দেখা পায়নি কেউই। যার ফল নিষ্পত্তির জন্য নেয়া হয় আরও ত্রিশ মিনিট। সেটিও এগিয়ে যাচ্ছিল নিষ্ফলাভাবেই। মনে হচ্ছিল, টাইব্রেকারের দিকেই এগুচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি।

ঠিক তখনই (১১৭ মিনিটের মাথায়) ডি-বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন পালমেইরাস ডিফেন্ডার লুয়ান গার্সিয়া। এবারও ভিএআর দেখে বাজানো হয় পেনাল্টির বাঁশি। টানটান উত্তেজনা আর প্রচণ্ড চাপের মুখে দারুণ এক স্পটকিকে দলের শিরোপা নিশ্চিত করেন হাভার্জ। বনে যায় টানা দুই শিরোপা জয়ের নায়কও।

এনএস//