ভালোবাসা দিবসের আড়ালে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ (ভিডিও)
আদিত্য মামুন
প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:০৮ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার
ভালোবাসা দিবসের আড়ালে হারিয়ে গেছে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রথম গণআন্দোলনের সূচনাকারী ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’। বৈষম্যের শিক্ষানীতি বাতিল ও গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে রক্তঝরানো দীপালী-জয়নাল-কাঞ্চনদের চরম আত্মত্যাগকেও মনে রাখেননি অনেকেই।
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩। শিক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার তথা এগারো মাস আগে জারি এরশাদের সামরিক শাসন বাতিলে প্রথমবারের মতো রাজপথে নেমে এলেন ছাত্ররা। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হলেন বেশ কয়েকজন। তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে কালক্রমে সেটি পরিণত হলো গণআন্দোলনে।
এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খান প্রণীত বিতর্কিত শিক্ষানীতিতে ছিল প্রথম শ্রেণি থেকেই আরবি আর দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শেখা ইংরেজি বাধ্যতামূলক। এছাড়া, উচ্চশিক্ষার মাপকাঠি ধরা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশভাগ ব্যয় বহনের ক্ষমতা।
শিক্ষাকে বাণিজ্যীকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকতার কুখ্যাত সেই শিক্ষানীতির প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা হাজারো শিক্ষার্থী সচিবালয় অভিমুখে স্মারকলিপি দিতে গেলে চড়াও হয় জান্তা সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ। লাঠি-গুলি-টিয়ারগ্যাসের মুখেও পিছু হঁটেননি ছাত্র-জনতা।
তীব্র আন্দোলনের মুখে মজিদ খানের সেই শিক্ষানীতি বাতিল করতে বাধ্য হলেও দিনটিকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে আশ্রয় নেন বেহায়াপনার এরশাদ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাসের স্মরণীয় দিনটিকে আড়াল করতে প্রচলন করা হয় ভালোবাসা দিবসের।
রক্তে কেনা স্বদেশের প্রতি যে ভালোবাসা জাতির বীরসন্তানেরা ১৯৮৩ সালের এই দিনে দেখিয়েছেন, তাকে স্মরণ এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উদ্ভাসিত করতে দিবসটিকে যথাযথভাবে পালনের উদ্যোগ চান দীপালী-জয়নাল-কাঞ্চনদেও সহযোদ্ধারা।
এসবি/