ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

বিক্রির সময় উদ্ধার হওয়া ৫১টি পাখি ডানা মেলল আকাশে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালিয়ে বিরল প্রজাতির একটি ডাহুক’সহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫১টি পাখি উদ্ধার করে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী। এ সময় দুই বিক্রেতাকে আটক করে আগামীতে এসব কাজ থেকে বিরত থাকবে এ মর্মে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সোমবার বিকেলে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের আকাশে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়। পাখিগুলোর মধ্যে ছিল একটি বিরল প্রজাতির ডাহুক, চারটি শালিক ও ৪৫টি ঘুঘু পাখি। এছাড়াও বৈদ্যুতিক তারে আটকে পড়া একটি বিরল প্রজাতির ঈগল পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল থেকে চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় উপকূলীয় বন বিভাগ। অভিযান চলাকালে দুপুরে চৌমুহনী বাজারের একটি গলি থেকে বিক্রিকালে দুই যুবককে ধাওয়া করা হলে তারা পাখিগুলো রেখে পালিয়ে যায়। পরে পাখিগুলো জব্দ করে বন বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে রোববার বিকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের বৈদ্যুতিক তারে আটকা পড়ে একটি বিরল প্রজাতির ঈগল পাখি। পরে আহত পাখিটিকে স্থানীয়রা ধরে এনে বন বিভাগে পৌঁছে দিলে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী মো. ফরিদ মিঞা, বন্য প্রাণী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল, সহকারি বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমান, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা বলেন, ডাহুক, ঈগল এসব পাখি এখন খুব একটা দেখা যায় না। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ পাখি সংরক্ষণ খুবই জরুরি। পাখি শিকারিদের উৎপাত বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৬ (১) আইনের অধীনে লাইসেন্স বা ক্ষেত্রমত, পারমিট গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি বন্যপ্রাণী শিকার বা তফসিল-৪ এ উল্লিখিত কোন উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করতে পারবেন না এবং ৯ ধারায় ধৃত, উদ্ধারকৃত বা জব্দকৃত কোন বন্য প্রাণী খাঁচায় বা আবদ্ধ অবস্থায় রাখা উহার জীবনের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ হলে উক্ত বন্য প্রাণীকে উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কেআই//