ইউক্রেন সংকটে বাঁক বদল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
ইউক্রেইন সংকট নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা বলায় কিছুটা পট পরিবর্তন হয়েছে।
রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেইন উপকূলে জড়ো হয়েছে। অপরদিকে রাশিয়ার স্থল বাহিনীগুলোও প্রস্তুত আঘাত হানতে, এমন সঙ্কটে সোমবার পরিস্থিতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ শুরু করার পরিবর্তে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন ‘সামনে এখনও একটি কূটনৈতিক পথ আছে’।
পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনার প্রসঙ্গে ল্যাভরভ বলেন, “আমার বিশ্বাস আমাদের সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমি সেগুলো চালিয়ে নেওয়ার ও তা আরও জোরদার করার প্রস্তাব করছি।”
সামরিক পদক্ষেপ ছাড়াই সেনা সমাবেশকে ব্যবহার করে মূল উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করতে পারবে, এখন এমনটাই ভাবছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভেও এমন সুর বদলের সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছিল। সেখানে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের নেটো জোটে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন। তিনি এমন পদক্ষেপের দিকে এগোলে তা পুতিনের অন্যতম প্রধান দাবি পূরণে সহায়তা করবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, নেটোর সদস্যপদ ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্যই’, এই সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য দেশের সংবিধানেই লেখা রয়েছে।
কিন্তু রাশিয়ার বাহিনীগুলোর দ্বারা প্রায় চারদিক থেকে ঘেরাও হয়ে এবং রাশিয়া আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্ররা ইউক্রেইনে সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় দেশটি যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে তা স্বীকার করে নেটো সদস্যপদের বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, “এই পথে ইউক্রেইন আর কতোদূর যাবে? কে আমাদের সমর্থন করবে?”
কিয়েভ সফরে আসা জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজকে পাশে নিয়ে এসব কথা বলেন জেলেনস্কি। যুদ্ধ এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে কিয়েভে এসেছেন শোলজ। সংকট নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে মঙ্গলবার মস্কো যাবেন তিনি।
শোলজ বলেছেন, রাশিয়া ফের ইউক্রেইনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা লঙ্ঘন করলে তারা মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে সমন্বিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।
এদিকে এই চলমান সঙ্কটাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের কিয়েভ দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়ে পশ্চিম ইউক্রেইনের পোল্যান্ড সীমান্তের নিকটবর্তী লভিভে সরিয়ে নিয়েছে।