ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রাজশাহীতে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ‘বনলতা’

রাজশাহী অফিস

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

রাজশাহীর রেলপথে দুর্ঘটনা কমছে না। শতবর্ষী রেললাইনগুলো যেন আতঙ্কের জায়গা হিসেবে পরিণত হয়েছে। এবার অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি।  

মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় রেললাইন ভাঙা দেখতে পেয়ে লাল গামছা টাঙিয়ে ট্রেনটিকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি। 

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিতে প্রায় সাড়ে আটশো জন যাত্রী ছিল। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে জিয়াউর রহমান ও হাবলু মিয়া নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি রেললাইনের পথ দিয়ে কৃষি কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা লাইনের এক অংশে ভাঙা দেখতে পান। সকালে রেললাইন দিয়ে অনেক ট্রেন চলাচল করে। এ জন্য তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুদ্ধি করে লাইনের মাঝখানে নিজেদের লাল গামছা টাঙিয়ে দেন। এই লাল কাপড় দেখে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে যায়। প্রায় সোয়া ঘণ্টা পর রেললাইন মেরামত করার পর ট্রেন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।

তিনি বলেন, “রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলার রেললাইনগুলো ব্রিটিশ আমলে তৈরি। এই লাইনে সারা দিনে ৩২ বার ট্রেন চলাচল করে। অনেক সময় রেললাইনে বেশি চাপ পড়ায় লাইনগুলোর বিভিন্ন স্থান ভেঙে যায়। বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে রেল লাইনগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।”

পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, “স্থানীয় দুই ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস। লাইন মেরামত করার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।”

তিনি আরও বলেন, “১৫ মিনিট বিলম্বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ৭টা ৫০ মিটিটে ট্রেনটি চারঘাটের রামচন্দ্রপুরে আট পড়ে। সকাল ৯টায় লাইন মেরামত কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রায় সোয়া ঘন্টা এ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সিল্কসিটি ও মধুমতি ট্রেন আটকা পড়ে।”

রাজশাহী রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (আইএন) আবু জাফর বলেন, “এ এলাকার লাইনগুলো অনেক পুরোনো। স্টিলের ও কাঠের স্লিপারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। কংক্রিটের স্লিপার হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। আমরা নতুন লাইন স্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলে বাস্তবায়ন করা হবে।”
এসএ/