মানসম্মত শিক্ষায় অনন্য ডিআইইউর সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
আশরাফুল ইসলাম সুমন, ডিআইইউ
প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩১ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রার প্রথম দিকেই প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি অনুষদের আওতায় মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সমাজবিজ্ঞান কোসর্টি চালু রয়েছে। দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চালু করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সেই থেকে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পাঠ্যদান পরিচালনা করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যায়ন শেষে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মক্ষেত্রে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন এক ঝাঁক অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষকমন্ডলী। যারা পাঠদানে সদা আন্তরিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রহিম মোল্লা, অধ্যাপক জাহান আরা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক তাহমিনা খান, সহযোগী অধ্যাপক মো. ফজলুল পলাশ, সহকারী অধ্যাপক তানজিলা শবনম, সহকারী অধ্যাপক জামশেদুর রহমান ও প্রভাষক ড. শামীম হামিদীসহ অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান কোর্সের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ কোর্সটি গবেষণাধর্মী, গবেষণার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব। তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের বাস্তবধর্মী পাঠদানের মাধ্যমে একজন দক্ষ নাগরিকে পরিণত করার জন্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেন তথ্য ও গবেষণা নির্ভর জ্ঞান অর্জন ব্রতী হন, সেজন্য তাদেরকে সব সময় অনুপ্রাণীত করা হচ্ছে।
সমাজবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার:
সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গঠনে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কেননা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি কলেজেই সমাজতত্ত্ব বা সামাজিক বিজ্ঞান পড়ানো হয়। এর পাশাপাশি সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার গঠন করারও সুযোগ রয়েছে।
যেমন- গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন এনজিও-তে ক্যারিয়ার গঠন করারও সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যা সমাধানে বা সামাজিক ইস্যুতে অনেক বড় বড় স্বনামধন্য এনজিও প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। সে সকল প্রতিষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বিশেষ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।
এছাড়াও ইউএনডিপি, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে দেশে–বিদেশে ক্যারিয়ার গঠন করার সুযোগ রয়েছে।
সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো রেজাল্ট করে সেখানে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করার সুযোগ রয়েছে।
ক্যাম্পাস:
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার বাড্ডার সাঁতারকূলে অবস্থিত। নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসেই সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পাঠদান করানো হয়। বনানী ও গ্রিন রোডে রয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আরও ২টি শাখা।
এনএস//