লুনা সামসুদ্দোহার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তা, যিনি নানাবিধ সামাজিক তৎপরতার জন্য বিশিষ্ট ছিলেন। দোহাটেক নিউ মিডিয়া’র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
লুনা শামসুদ্দোহা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পরিচালনায় প্রায় এক যুগ জড়িত ছিলেন। তিনিই প্রথম নারী যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোন ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিআইটি) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ছিলেন। জনতা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্তি লাভের পূর্বে তিনি ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে জনতা ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত আরেক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
লুনা শামসুদ্দোহা ২০১৩ সালে প্রযুক্তি খাতে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারণে গ্লোবাল উইমেন ইনভেন্টরস অ্যান্ড ইনোভেটরস নেটওয়ার্ক (গুইন) সম্মাননা পান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, সফটওয়্যার উদ্যোক্তা এবং সুইজারল্যান্ডের গ্লোবাল থট লিডার অন ইনক্লুসিভ গ্রোথের সদস্য।
লুনা সামসুদ্দোহার জন্ম ৪ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবার নাম লুৎফার রহমান এবং মায়ের নাম হাসিনা রহমান। তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবরর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
১৯৮৫ সালে দ্য এক্সিকিউটিভ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন লুনা সামসুদ্দোহার। পরবর্তীতে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলে ইংরেজি ভাষা শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজি ভাষার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ‘দোহাটেক নিউমিডিয়া’ সফটওয়্যার নির্মাণ এবং ডিজিটাল সিস্টেম তৈরিতে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশের সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, করপোরেশনের সফটওয়্যার সলিউশন দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল সার্ভিস ইত্যাদি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করার ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান।
তিনি ২০২১ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি ৬৭ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এসএ/