ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ধুধু বালুচরে কুমড়া চাষে সফল ভূমিহীন কৃষকরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমোর ও গঙ্গাধরসহ ১৬টি নদ-নদীর বুক জুড়ে এখন শুধুই বিস্তৃত বালু চর। দুচোখ যেদিকে যায় সেদিকে শুধু বালু আর বালু। এসব বালু চরে তেমন কোন  ফসল ফলানো যায় না। কিন্তু এবার চরের ভূমিহীন কৃষকরা বালু চরকে ব্যবহার উপযোগি করে ফলাচ্ছেন ফসল। 

তারা বালু মাটিতে বিপুল পরিমাণ কুমড়া চাষে সফল হয়েছেন। কুমড়া চাষ করতে ভূমিহীন কৃষকদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও বীজ দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে কৃষিবিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। তবে অধিকাংশ  কৃষক নিজ উদ্যোগে এসব বালুচরে কুমড়া চাষ করছেন।

কুড়িগ্রামের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করা হয়েছে। এসব জমির বেশির ভাগই বালুচর। 

নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদীর চরের কৃষক সাফিয়ার রহমান বলেন, গত ৩ বছর ধরে নিজ উদ্যোগে বালু চরে কুমড়া চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি প্রতি বছর ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করছেন। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজলোর ব্রহ্মপুত্র নদের ঝুনকার চরের ভূমিহীন কৃষক নবিদুল ইসলাম বলেন, চরের বসবাসকারী ১৫ জন কৃষক একত্রিত হয়ে তারা ৭ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করছেন। প্রত্যেক কৃষক এবছর কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে আয় করতে পারবেন বলে আশা তার। 

অষ্টমীর চর এলাকার ভূমিহীন কৃষক শেখের আলী বলেন, ওই চরের বসবাসকারী অনেক কৃষক এখন কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বালু চরে কুমড়ার চাষে ফলন ভালোই পাওয়া যায়।  

একই চরের বিধবা ছমিরন বেওয়া জানান, গত বছর দুই বিঘা জমিতে কুমড়া চাষ করে ভালোই লাভবান হয়েছি। তাই এবার ৩ বিঘা জমিতে কুমড়া চাষ করেছি।  

কুড়িগ্রাম কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তররে উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, চরের কৃষকরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কুমড়া চারা লাগান। মার্চ মাস হতেই তারা ফলন পেতে শুরু করেন। এসব চরের উৎপাদিত কুমড়া দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যান।

বালু চরের কুমড়া চাষে ভূমিহীন কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

এএইচ/