ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নিশ্চিত হয়নি সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার (ভিডিও)

জসিম জুয়েল

প্রকাশিত : ০১:১৬ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পেরুলেও সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার এখনও নিশ্চিত হয়নি। এখনও অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজির চল। সর্বস্তরে বাংলা ব্যবহারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউ।

বাংলা বর্ণমালা আমাদের অহঙ্কার। সেই ৪৮ থেকে শুরু, ৫২তে এসে ভাষার জন্য রক্ত দেয় বাঙালি। অর্জিত হয় ভাষার অধিকার। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র। 

২১ ফেব্রুয়ারি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরেও সর্বস্তরে চালু হয়নি বাংলার ব্যবহার।

২০১৪ সালের ১৭ ফ্রেবুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানারসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে ইংরেজি ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তারপরও অবস্থা বদলায়নি।

ঢাকার বিভিন্ন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজি শব্দে। এলিফেন্ট রোড- এই লেখাগুলোর মতো বেশিরভাগ ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে লেখা। বাংলা লেখা থাকলেও চোখে পড়া দায়। 

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ মালিকই আদালতের নির্দেশনার কথা জানেনই না।

দোকান ব্যবসায়ীরা জানান, ‘এখন কাস্টমাররা ইংলিশের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইংরেজিতে নাম থাকলে কাস্টমারদের আকর্ষণ বেশি হয় যার কারণে ইংলিশে নাম দেওয়া।’

সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড লেখা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ইংরেজি লেখার প্রতি আগ্রহী। 

সাইনবোর্ড ব্যবসায়ীরা জানান, ‘ইংলিশের সাইবোর্ড বেশি বানান, তারা বাংলায় খুবই কম অর্ডার দেন। দিলেও ছোট করে দিচ্ছেন, তাতে কোন লাইটিং থাকে না।’

সাইনবোর্ড-বিলবোর্ডে বাংলা ব্যবহার হয় কি-না তা দেখার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। ইংরেজিতে সাইনবোর্ড লেখা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন উত্তর সিটির সিইও। 

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘সকল অনুমতিতে আমরা বলে দেই সাইনবোর্ড অবশ্যই বাংলায় হবে। কোন বিদেশি সংস্থা যদি তাদের একান্তই ইংরেজিতে সাইনবোর্ড প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে একটা অংশ বাংলা লিখতে হবে।’

আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না হওয়াকে দুঃখজনক বলছেন রিটকারী আইনজীবী। 

রিটকরী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, টেলিভিশন, মিডিয়া, পত্র-পত্রিকা- এখানে বাংলায় লিখতে হবে। কিন্তু ওই আদেশ জারি হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’

সবকিছুর পর বাংলাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে দরকার ভাষার প্রতি ভালোবাসা।

এএইচ/