ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

লেফটেন্যান্ট পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

বিমান বাহীনির ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভোলায় তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবির হাসান (২৮) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফরহাদ সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসাঃ তাসনুর বেগম (৪৫) তার মেয়ে মিরা আক্তার ইতি (১৮)র নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্তে থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ ভিকটিম ইতি আসামির মোবাইল ব্যবহার করে কৌশলে ভিডিও কলে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। 

সে জানায় আসামি আবির তাকে অপহরণ করে দিনাজপুরের কোতয়ালী থানা এলাকায় একটি রুমে আটকে রেখেছে।

এই তথ্যেরর ভিত্তিতে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাহাড়পুর ইকবাল স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এসময় আসামি আবির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

আটক আবির হাসান পাবনা জেলার চাঁদ মোহন থানার বরদা নগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামি আবির একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান পেশাদার অপরাধী ও প্রতারক। ভিকটিমের সাথে ইতিপূর্বে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে তার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও নিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করে আসছিল। নিজেকে বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নামে ১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আবির।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহীনির ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পরিচয়ধারী আসামি আবির সরকারি সফরে ভোলায় এসেছেন মর্মে ভিকটিমকে জানান এবং ভোলার সার্কিট হাউজে তার সাথে দেখা করার জন্য বলেন। ভিকটিম আবিরের সাথে দেখা করার জন্য সার্কিট হাউজ যাওয়ার পথে হিড বাংলাদেশ অফিসের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে তুলে চেতনানাশক দ্রব্য দ্বারা অজ্ঞান করে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা এলাকায় নিয়ে যায় আবির। সেখানে আটক রেখে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে।

তিনি আরও জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এরকম আরও একাধিক ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। পাশাপাশি আসামি একজন মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এরুপ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ/