ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সেনাসদস্যকে লাঠিপেটা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সেনাসদস্যকে লাঠিপেটার ঘটনায় আমদই ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু (৫০)সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

এর আগে এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত সেনাসদস্য রুহুল আমিনের চাচা মোঃ মাহফুজুল হক।

গ্রেফতার আমদই ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু (৫০) ও একই ইউপির মীরগ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল ওহাব (৫২)কে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান। 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেনা সদস্য রুহুল আমিনের বাড়ি আমদই ইউপির মীরগ্রামে। তিনি ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। প্রতিবেশী আব্দুল ওহাবের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তার বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বুধবার দুপুর একটার দিকে চৌমুহনী বাজারে তাদের মধ্যে তর্ক-বির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

ওই অপ্রীতিকর ঘটনার একঘণ্টা পর আবার সেখানেই তাদের দুজনের মধ্যে মিমাংসাও হয়। 

তবে, এ ঘটনায় ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে কল করে সেনা সদস্য রুহুল আমিনকে চৌমুহনী বাজারের তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আসতে বলেন। এরপর সেখানে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু একটি ফাঁকা আপোষনামায় রুহুল আমিনকে স্বাক্ষর করতে বলেন। এতে স্বাক্ষর না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে সেনা সদস্য রুহুল আমিনকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। 

একপর্যায়ে রুহুল আমিন অজ্ঞান হয়ে যান। সেখান থেকে স্বজনেরা রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে বগুড়া সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

এ ঘটনায় মামলা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট র‌্যাব সদস্যরা শহরের ধানমন্ডি এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করে। এ মামলার আরেক আসামি আব্দুল ওহাবকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান বলেন, সেনাসদস্যকে লাঠিপেটার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এএইচ/